ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করার সহজ উপায়

আজকাল একটি ওয়েবসাইট বানানোর জন্য আর কস্ট করে কোডিং করা লাগেনা, নিজে নিজেই ঘরে বসে খুব অল্প সময়ের মধ্যে ওয়ার্ডপ্রেস এর সাহায্যে সুন্দর ও পূর্নাঙ্গ ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেলা যায়। আপনি ব্লগিং করুন অথবা ব্যবসায় ব্র‍্যান্ডিং তার জন্য একটি ওয়েবসাইট আবশ্যক। এই আর্টিকেলে আমরা ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করার সহজ উপায় ধাপে ধাপে শিখে নেব।

ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি

ওয়ার্ডপ্রেস কি?

আমরা জানি, ওয়েবসাইট হল ইন্টারনেটে কতগুলো ওয়েবপেজ এর সমস্টি। ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে ব্লগিং,এফিলিয়েট মার্কেটিং সহ নিজ ব্যবসা পণ্যের বা সার্ভিস  এর প্রচার প্রচারণা করা যায় বেশ সহজে।পৃথিবীতে বর্তমানে যত ওয়েবসাইট আছে তার প্রায় ৪২.৬ শতাংশ ওয়ার্ডপ্রেস  দিয়ে তৈরি। সুতরাং, বুঝতেই পারছেন কেন ওয়ার্ডপ্রেস এত জনপ্রিয়?

আর ওয়ার্ডপ্রেস হল একটি Content Management System বা CMS সফটওয়্যার যা দিয়ে খুব সহজেই ওয়েবসাইট ডেভেলপ করা যায়। WordPress.org থেকে হোস্টিং ও ডোমেইন কিনে কাস্টমাইজড ওয়েবসাইট বানানো যায় আবার WordPress.com এর সাহায্যে ফ্রি ব্লগ ওয়েবসাইটও তৈরি করা যায়।

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজ নতুনদের জন্য সহজ জানতে ক্লিক করুন।

কেন ওয়ার্ডপ্রেস এর ব্যবহার সবচেয়ে বেশি

বর্তমানে নতুন ওয়েবসাইট নির্মাতাদের প্রথম ও জনপ্রিয় পছন্দ ওয়ার্ডপ্রেস। এখন প্রায় ৬৫% ওয়েবসাইটই ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে তৈরি হচ্ছে।এটি php ল্যাংগুয়েজ দিয়ে তৈরি হওয়ার কারনে এতে হাজার হাজার থিম ও প্লাগ ইন  রয়েছে যা দিয়ে সহজেই ইচ্ছেমত একটি ওয়েবসাইট কাস্টমাইজ করা যায় এবং তা খুব অল্প খরচেই। WordPress.com এর মাধ্যমে চাইলে ব্যক্তিগত বা ব্যবসাগত কারনে  সম্পূর্ণ বিনামূল্যে  ওয়েবসাইট বানানো যায় এবং তাতে লিখালিখি করে প্রচুর ইনকাম করা যায়।

এছাড়াও ওয়ার্ডপ্রেসের সাহায্যে ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের হরেক সুবিধা পাওয়া যায়, কোডিংএর সাহায্য ছাড়াই। ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করলে আলাদাভাবে SEO এর কাজ করার প্রয়োজন হয়না কারন এতেই SEO অপ্টিমাইজ করার সকল অপশন রয়েছে যা আপনার দরকারমত ব্যবহার করতে পারবেন। শুধু সুবিধামত একটি প্লাগিন ইন্সটল করলেই সব কাজ আপনাতেই হবে।

আর একটি সুবিধা হল ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করতে কোন টাকা দিতে হয়না, এটি সম্পূর্ণ ফ্রি ব্যবহার করা যায়। এর সাবডোমেইন ব্যবহার করে আপনি বিনামূল্যে ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে পারবেন। তাহলে বুঝতেই পারছেন,ওয়ার্ডপ্রেস কি দারুন একটি সফটওয়্যার!

এই আর্টিকেল পড়লে আপনি কিভাবে ফ্রি তে ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট নির্মাণ করা যায় তা জানতে পারবেন।

আরও পড়ুনঃ

মাত্র ১০ হাজার টাকায় ২৫টি ব্যবসার আইডিয়া  

ড্রপশিপিং বিজনেস

 ব্লগ তৈরির নিয়ম এবং ব্লগ থেকে কিভাবে আয় করা যায়

ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি

ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করতে যা যা প্রয়োজন

ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করতে প্রথমেই আপনাকে ওয়ার্ডপ্রেস এর ব্যবহার সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকা প্রয়োজন। এরপর যেটা দরকার তা হল ওয়েবসাইট এর একটি ডোমেইন নাম ও হোস্টিং সার্ভার। এই দু’টো জিনিস কিনতে আপনার কিছু টাকা খরচ হবে। ডোমেইন আর হোস্টিং কিনা অনেকটা কারো কাছ থেকে জমি কিনার মত। নীচে ডোমেইন ও হোস্টিং ক্রয় সম্পর্কে বিস্তারিত দেয়া হল।

(১ম ধাপ)

ডোমেইন ক্রয়

ডোমেইন হল ওয়েব জগতে আপনার জন্য একটি ঠিকানা, যেটার মালিক আপনি ব্যতীত আর অন্য কেউ হতে পারবেনা। আপনার ওয়েবসাইটের একটি নির্দিষ্ট নাম বা পরিচিতি। আপনার ব্লগ সাইটের একক নাম বা ব্যবসায়িক সাইটের ব্র‍্যান্ডিং হল ডোমেইন নেম। wordpress.org থেকেই আপনি ডোমেইন কিনতে পারবেন।

ডোমেইন এর কতগুলো extension রয়েছে যার মধ্যে. com বহুল পরিচিত। এছাড়া অন্য extension গুলোর মধ্যে আছে.org,.net,.edu ইত্যাদি।

ওয়েবসাইটের ডোমেইন ক্রয় করার আগে কিছু বিষয় খেয়াল করা উচিত। যেমন:

বিশ্বস্ত কোম্পানির নিকট থেকে কেনা।

কন্ট্রোল প্যানেলের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পেতে হবে, অন্যথায় হ্যাকের আশংকা থাকে৷

না জেনে কোন লোভনীয় অফারে ডোমেইন কিনার ব্যাপারে সতর্ক থাকা।

.com ডোমেইন এর মূল্য সাধারণ ৭০০-১৪০০ টাকার মতো হয়ে থাকে। আবার, আপনি যদি পুরানো কোন ডোমেইন কিনতে চান তবে দাম আরও বেশী পড়তে পারে।

হোস্টিং ক্রয়

হোস্টিং ছাড়া ওয়েবসাইট কল্পনা করা যায়না। হোস্টিং হল ইন্টারনেটে একটি জায়গা যেখানে আপনার ওয়েবসাইটকে লাইভ করানো হয়। তাই হোস্টিং ছাড়া শুধুমাত্র ডোমেইন কিনে লাভ নেই। দেশি কোম্পানি থেকে অল্প দামেই হোস্টিং কেনা যায়। চাইলে একটু বেশি খরচ করে ভাল কোয়ালিটির হোস্টিং ক্রয় করতে পারেন বিদেশি কোম্পানি গুলো থেকে।

আবার, আপনি চাইলে,ইন্টার ন্যাশনাল মার্কেট যেমন namecheap.com, godaddy.com বা অন্য অনেক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট থেকেও ডোমেইন কিনতে পারেন এবং  অন্য একটি কোম্পানি বা ওয়েবসাইট থেকে হোস্টিং কিনতে পারেন যেমন hostinger.com, bluehost.com, hostgator.com ইত্যাদি।পরবর্তীতে আপনার ডোমেইন কে হোস্টিং এর সাথে কানেক্ট করতে হবে। যদি আপনি এমন কোন ওয়েবসাইট বানাতে চান যেখানে আপনার ব্লগ, এফিলিয়েট বা বিজনেস এর অডিয়েন্স বা গ্রাহক বেশিরভাগ বিদেশি তাহলে আপনার জন্য বিদেশি কোন ভালো ওয়েবসাইট থেকে ডোমেইন  হোস্টিং কেনা উত্তম। তাহলে, আপনার ওয়েবসাইট এর পেইজ লোড স্পীড এবং ইউজার এক্সপেরিয়েন্স ভালো হবে যা আপনার জন্য ওয়েবসাইট এর ফলপ্রসূ হবে।

আপনি চাইলে বাংলাদেশি ওয়েবসাইট যেমন exonhost.com, putulhost.com, hostever.com ইত্যাদি  বাংলাদেশি ওয়েবসাইট থেকেও আপনি ডোমেইন হোস্টিং কিনে ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট শুরু করতে পারেন।সেক্ষেত্রে আপনার খরচ কম হবে। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বাংলাদেশি ওয়েবসাইট এ ইনকাম তুলনামুলকভাবে বেশ কম।

যেমন: infolifebd.com একটি ডোমেইন নাম। গুগল সার্ভারে সার্চ করলেই আপনি সরাসরি এই ওয়েবসাইট এ প্রবেশ করতে পারবেন।

হোস্টিং ক্রয় করার সময় কিছু বিষয় খেয়াল করব নেয়া দরকার। যেমন-

  • হোস্টিং এর জন্য বাজেট ঠিক করুন। আপনার বাজেটের উপর ওয়েবসাইট এর কোয়ালিটি নির্ভর করবে। কত বাজেট হলে ভাল হোস্টিং পাওয়া যেতে পারে রিসার্চ করে বের করুন।
  • মানি ব্যাক গ্যারান্টি দিয়ে থাকে এমন কোম্পানির নিকট থেকে হোস্টিং ক্রয় করুন।এদের সার্ভিস সাধারণত ভাল হয়ে থাকে।
  • হোস্টিং স্পেস ঠিক করতে হবে। ব্লগিং এর জন্য অল্প স্পেসেই চলে। কি ধরনের ওয়েবসাইট লাগবে তার উপর ভিত্তি করে হোস্টিং স্পেস ঠিক করুন।
  • যাদের সার্ভার থেকে হোস্টিং নিবেন তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। তারা সময়মত যথাযথ সাপোর্ট দেয় কিনা বা সার্ভারের লোড নেয়ার ক্ষমতা কেমন ইত্যাদি। সার্ভার ওভারলোড হয়ে থাকলে আপনার ওয়েবসাইট এর ক্ষতি, আর ওয়েবসাইট এ কোন সমস্যা হলে দ্রুত সাপোর্ট দিবে এমন সার্ভার গ্রহণ করুন।

এভাবে উল্লিখিত বিষয় গুলো খেয়াল করে ডোমেইন ও হোস্টিং ক্রয় করলে ভাল একটি ওয়েবসাইট এর আশা করা যায়। পরবর্তী ধাপ হল কন্ট্রোল প্যানেলে লগ ইন করা।

(২য় ধাপ)

C-panel এ লগ ইন করা

ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করতে হোস্টিং কেনার পর আপনার C panel এ লগ ইন করতে হবে। আপনার ওয়েবসাইটের হোস্টিং সার্ভার আপনার মেইল এ ইউজার নেম আর পাসওয়ার্ড পাঠাবে। তারপর ইন্টারনেট ব্রাউজার এর মাধ্যমে ওয়েবসাইট এর ডোমেইন নেম লিখে শেষে  c panel লিখে সার্চ করবেন।

যেমন: infolifebd.com/cpanel

C panel এ সেই ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ ইন করবেন। এরপর C panel থেকে ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করতে হবে।

c panel এর পাসওয়ার্ড মেইল এ না পেলে spam ফোল্ডার এ চেক করুন। এরপরেও পাসওয়ার্ড না পেলে হোস্টিং কোম্পানির ক্লায়েন্ট এরিয়া থেকে সি প্যানেলে প্রবেশ করা যায়।

WordPress এর  dashboard এ লগ ইন

ওয়ার্ডপ্রেসটি ইন্সটল করার পরপরই আপনার ওয়েবসাইটটি তৈরি হয়েছে। এবার ওয়েবসাইটটি পরিচালনা করতে হলে ওয়ার্ডপ্রেসের ড্যাশবোর্ডে লগইন করতে হয়। লগ ইন করতে কোন একটি ব্রাউজার এ গিয়ে আপনার ওয়েবসাইটের নাম/wp-admin লিখে সার্চ করতে হবে। যেমন: infolifebd.com/wp-admin

এভাবে সার্চ করলে আপনার ওয়ার্ডপ্রেস এর ওয়েবসাইটএর ড্যাশবোর্ড এর লগইন পেজ এ পৌঁছে যাবেন। তারপর আপনাকে দেয়া পাসওয়ার্ডটি যেটা ইন্সটল করার সময় ব্যবহার করেছিলেন সেটি ইন্টার করাতে হবে। ফলে লগইন হয়ে গেলো আর আপনি ড্যাশবোর্ডে প্রবেশ করলেন।

(৩য় ধাপ)

ওয়ার্ডপ্রেস থেকে ওয়েবসাইটের জন্য থিম নির্বাচন ও কাস্টমাইজেশন

ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করার সবচেয়ে বড় সুবিধা হল থিম কাস্টমাইজেশন করার কঠিন কাজটির জন্য কোন প্রকার কোডিং করা দরকার হয়না। তবে হ্যা, আপনার অবশ্যই ডিজাইন ও ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর ভাষা যেমন, জাভা, পি এইচ পি, সি এস এস সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা থাকতে হবে। ওয়ার্ডপ্রেস এর থিম ডিরেক্টরিতে প্রচুর বিল্ট-ইন থিম পাওয়া যায়, বিনামূল্যেও পাবেন। ড্যাশবোর্ডের সাইড মেনুতে গিয়ে ‘Appearence’ এ মাউস রাখলে ‘Themes’ অপশনটি পাওয়া যাবে, সেখানে ক্লিক করতে হবে। এখান থেকে পছন্দমতো থিম সিলেক্ট করে নিবেন। এরপর সেটিংস এর বিভিন্ন অপশন থেকে থিম কাস্টমাইজ করে নেয়া যায় সহজেই। আপনি নিজে যদি ওয়েব ডিজাইনার বা ডেভেলপার হন তবে নিজের বানানো থিমও এখানে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য আপলোড দিতে পারবেন ‘upload theme’ অপশনে গিয়ে। এভাবেই ওয়ার্ডপ্রেস এর থিম কাস্টমাইজেশন করে আপনার জন্য পছন্দসই ওয়েবসাইট বানিয়ে নিতে পারেন।

(৪থ ধাপ)

প্লাগ ইন ইন্সটল

ওয়ার্ডপ্রেস হরেক রকম প্লাগ ইন এ সমৃদ্ধ। যদিও এটি অপশনাল কিন্তু প্লাগইন যুক্ত করলে ওয়েবসাইটটি আরো ফাংশনাল হয়ে ওঠে। প্লাগইন ইন্সটল করার মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটের সিকিউরিটি, ট্রাফিক ইত্যাদি অপশন এর মাধ্যমে ঠিক করতে পারবেন। তবে আপনার দরকার অনুযায়ী প্লাগইন ব্যবহার করুন।

(৫ম ধাপ)

প্রয়োজনীয় সেট আপ নির্বাচন

আপনার ওয়েবসাইটে প্রয়োজনীয় সেট আপগুলো ঠিক করুন। ওয়েবসাইটের কতগুলো ওয়েবপেজ সংযুক্ত করুন। যেমন: About us, posts, Contact, Portfolio ইত্যাদি মেনুতে যুক্ত করুন ও সাজান। অন্যান্য ওয়েবসাইটগুলো থেকে আইডিয়া নিন।

আপনার ওয়েবসাইটের পার্মালিংক সেট করুন, কেননা পার্মানেন্ট লিংক এর উপরেই আপনার ওয়েবসাইটটির লিংকগুলোর গঠন নির্ভর করে এবং তা ওয়েবসাইটকে SEO এর র‍্যাংকিং এ আসতেও সাহায্য করে। যেমন,আপনার  পার্মালিংকটি infolifebd.com না হয়ে infolifebd.com/how-to-create-a-full-website-with-wordpress হতে পারে।

এভাবেই উপরোক্ত ধাপগুলি অনুসরণ করে ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে একটি চমৎকার ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেলতে পারেন।

ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি

ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে সম্পূর্ণ  ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরি

WordPress.com এর সাহায্যে সম্পূর্ণ বিনামূল্যেই ওয়েবসাইট বানানো যায় উপরোক্ত গাইডগুলো অনুসরণ করে। ওয়ার্ডপ্রেস আপনাকে ওয়েবসাইট তৈরির জন্য বিনামূল্যে তাদের সাবডোমেইন ও হোস্টিং দিবে। ওয়ার্ডপ্রেসের সমৃদ্ধ থিম ভান্ডার থেকে ফ্রি থিম ও প্লাগইন স্টোর থেকে পছন্দমতো  প্লাগইন ইন্সটল করা যায়। বাকিটা নির্ভর করে কিভাবে আপনি আপনার থিম ও সেটিংস কাস্টমাইজ করবেন আপনার এই বিষয়ে জ্ঞান বা অভিজ্ঞতার উপর। সুতরাং, খুব সহজেই অল্প সময়ের মধ্যে ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে যেকোনো ফ্রি ব্লগিং বা ব্যবসায়িক সাইট তৈরি করা যায়।

ওয়ার্ডপ্রেস এর সাহায্যে আয়

ওয়ার্ডপ্রেস এর সাহায্যে ওয়েবসাইট তৈরি করে তা দিয়ে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। যেমন: ব্লগসাইট তৈরি করে লিখালিখি করে গুগল adsense এর মাধ্যমে প্রচুর আয় করা যায়। আবার যেকোনো e-commerce site বা নিজের প্রোডাক্টএর জন্য ব্যবসায়িক সাইট বানিয়ে তা দিয়ে Digital marketing করতে পারেন। অর্থাৎ, ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে আপনি  টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

অন্যদিকে, আপনি যদি ওয়েব ডেভেলপিং বা ডিজাইনিং জানেন বা এক্সপার্ট হয়ে থাকেন তাহলে ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েব ডেভেলপার বা ডিজাইনার হিসেবে বিভিন্ন টেক কোম্পানিতে চাকরি করতে পারেন।

শেষ কথা

ওয়েবসাইট বানাতে এখন আর ওয়েব ডেভেলপার হতে হয়না। একটু বিচক্ষণতা আর পরিশ্রম করলে আপনি নিজেই ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে খুব সহজেই একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন কোন প্রকার খরচ ছাড়াই।  যেকোন ধরণের ওয়েবসাইট, হোক তা ব্যক্তিগত কি ব্যবসার জন্য, ওয়ার্ডপ্রেস সেক্ষেত্রে দুর্দান্ত একটি টুল।আশা করা যায়,আমার এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়লে আর সেই সাথে কিছু টিউটোরিয়াল ভিডিও দেখে নিলে আপনিও আপনার জন্য দারুন একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন।

তথ্যসূত্রঃ

https://blog.hubspot.com/marketing/wordpress-website

https://www.wpbeginner.com/guides/

Leave a Comment