‘ফ্রিল্যান্সিং শিখুন, ঘরে বসে ডলার ইনকাম করুন’, ‘ফ্রিল্যান্সিং শিখুন/ ১৫ দিনে ইনকাম নিশ্চিত কোর্স’, ‘ফ্রিল্যান্সিং শিখুন স্বাবলম্বী হোন’, ‘অনলাইনে কাজ করে প্রতিদিন 200-500 টাকা ইনকামের উপায়’.. নজরকাড়া এই হেডলাইনগুলো বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার সবচেয়ে বেশি প্রচারিত বিজ্ঞাপন। আধুনিক প্রযুক্তির উৎকর্ষের এই যুগে ফ্রিল্যান্সিং একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ক্যারিয়ার হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে, যার মাধ্যমে এখন লাখো মানুষ স্বাধীনভাবে কাজ করার এবং বিভিন্ন শিল্পে তাদের দক্ষতা প্রদর্শনের সুযোগ পাচ্ছে।
প্রকৃতপক্ষে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে স্বাবলম্বী এবং সফলতার চুড়ান্ত পর্যায়ে উঠতে চাইলে আপনাকে নির্দিষ্ট কোন এক বা একাধিক স্কিলে প্রথমে দক্ষ হতে হবে। এবং একটি স্কিলে দক্ষ হতে কখনো দীর্ঘ বা কম সময়ের প্রয়োজন পরে। এটি সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনি কোন সেক্টরে ফ্রিল্যান্সিং করতে আগ্রহী তার উপর।
আজকের এই আর্টিকেলে আমার আলোচনা করবো, ফ্রিল্যান্সিং কি এবং ফ্রিল্যান্সিং কত প্রকার ?এর সাথে আরো থাকবে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলো সম্পর্কে ও এই কাজগুলা করার জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা নিয়ে ।
Read More
ফ্রিল্যান্সিং কি?
ফ্রিল্যান্সিং মূলত এক ধরনের চাকরী যেখানে আপনি বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে (Fiverr, Upwork, Seo cleark, Freelancing etc) বিদেশী কিংবা দেশী ক্লাইন্টের হয়ে অনেক ধরনের কাজ করতে পারবেন। এই কাজগুলি সাধারনত পার্টটাইম অথবা ফুলটাইম সব ধরনেরই হয়ে থাকে। আপনার পছন্দের কাজগুলো করতে পারেন, যেটায় আপনি নিজেকে দক্ষ মনে করেন।
ফ্রিল্যান্সিং কত প্রকার?
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে অনেক ধরনের কাজের সুযোগ রয়েছে তাই নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না ফ্রিল্যান্সিং কত প্রকার। যেমন ধরুন, Fiverr মার্কেটপ্লেসে গ্রাফিক্স ডিজাইন, প্রোগ্রামিং এবং টেক, ভিডিও এনিমেশন, রাইটিং এবং ট্রাসলেশন, ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি নানা রকমের কাজ করার সুযোগ রয়েছে। একিভাবে Upwork এসকল কাজের পাশাপাশি আপনি যদি বিজনেস গ্রাজুয়েট, আর্কিটেক অথবা ইঞ্জিনিয়ার হয়ে থাকেন তবে আপনারও বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার সুযোগ রয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজগুলো নতুনদের জন্য সহজ জানতে লিঙ্ক টিতে ক্লিক করুন।
ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধাঃ
ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে বড় সুবিধা কি জানেন? এমন অনেক বড় বড় স্কিল আছে যেগুলোর ভেতরে অগনিত ছোট ছোট স্কিল রয়েছে। আর সেগুলোকেই আপনি টার্গেট করে অনলাইনে ডলার আয় করতে পারবেন। তাই প্রথমেই আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে কিভাবে এটা সম্ভব?
অনলাইনে কোন ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান তার পণ্য বা সেবা সকলের কাছে প্রচারের উদ্দেশ্যে ডিজিটাল মার্কেটিং করে থাকে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি জনপ্রিয় শাখা হল SEO। আবার SEO এর একটি ছোট শাখা হল Keyword Research & Compititor Analysis। আপনি চাইলে শুধুমাত্র এই একটি সার্ভিস দিয়েও অনলাইনে ঘরে বসে আয় করতে পারবেন। ঠিক একইভাবে SEO এর মধ্যে আরো অনেক শাখা আছে যেমন On-page-SEO, OFF-page-SEO, Technical SEO ইত্যাদি আরো অনেক। তাহলে, আপনিই ব্লুনতো ফ্রিল্যান্সিং মত সুবিধা আর কিইবা থাকতে পারে?
এছাড়াও প্রতিটি জব ক্যাটাগরির মধ্যে আরো অনেক ধরনের নতুন নতুন কাজ যুক্ত হচ্ছে। যেমন Ai Technology এর আন্ডারে DALLE-E-Artists, Mid Journey Artistis, photo maker প্রভৃতি আরো অনেক কাজ। সামনে কাজের আরো অনেক নতুনত্ব আসবে আর তাই ফ্রিল্যান্সিং কত প্রকার এ কথার কোন সঠিক উত্তর কোথাও নেই। কারন এই কাজের কোন পরিসীমা নেই।
যে ১০ টি ফ্রিল্যান্সিং কাজ নতুনদের জন্য সহজ
ফ্রিল্যান্স রাইটিং
রাইটিং হল ফ্রিল্যান্সিংয়ের একটি জনপ্রিয় সেক্টর। এই পেশায় আপনি অনলাইনে বিভিন্ন ক্লায়েন্টের জন্য এক বা একাধিক কন্টেন্ট লিখতে পারেন। এমনকি প্রতিটা কন্টেন্টের জন্য আপনি নির্দিষ্ট রেট রাখতে পারেন। যেমন ধরুন কেউ ৫ ডলার আবার কেউ ১০ ডলার এভাবে লিখার মান অনুযায়ী সিলেক্ট করে দিতে পারে। শুধু তাই নয় আপনি কি ধরনের কন্টেন্ট লিখতে পারদর্শী সেটাও আপনার প্রোফাইলে উল্লেখ করে দিতে পারবেন আবার কাজের স্যাম্পলগুলোকেও পোর্টফলিও করে সাজিয়ে দিতে পারেন। এতে করে আপনার ক্লায়েন্ট আপনার কাজের ধরন সম্পর্কে পূর্ণ আইডিয়া পাবে।
আপনি যদি ব্লগ তৈরির নিয়ম জেনে নিজেই অনলাইনে ইনকাম করতে চান তাহলে এখনি আমাদের আর্টিকেল গুলো পড়ে ফেলুন।
ফ্রিল্যান্সার রাইটার হিসেবে আপনি নিচের বিভিন্ন রকম ক্যাটাগোরিতে লিখতে পারেনঃ
- Article Writing
- Fiction Writing
- eBook Writing
- Resume & Cover Letter Writing
- Guest Writing
- Technical Writing
- Product Reviews Writing
- Blog Writing
- Ghost Writing
- Copywriting
- Translation and Language Services
- Product Description Writing
- Transcription Writing
- Academic Writing
- Editing and proofreading
ফ্রিল্যান্স রাইটিং এর জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ও দক্ষতা:
- মানসম্পন্ন, আকর্ষণীয় ও তথ্যবহুল কনটেন্ট লেখার যোগ্যতা
- সঠিক তথ্য প্রদানের জন্য গুগল থেকে রিসার্চ করা
- সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (SEO), ব্যাকলিঙ্কিং, ট্যাগ ইত্যাদি সম্পর্কে ভালো ধারণা
- কনটেন্ট তৈরির বিভিন্ন কৌশল সম্পর্কে জ্ঞান থাকা
- ব্যাকরণ, বানান, এবং ভাষার পারদর্শিতা
- কাজের প্রতি দায়িত্বশীলতা, মনোযোগ ও শেখার মানসিকতা থাকা
গ্রাফিক ডিজাইন:
গ্রাফিক ডিজাইন হলো ফ্রিল্যান্সিং এর একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। আমাদের দৈনন্দিন জীবন থেকে শুরু করে বিভিন্ন ছোট-বড়, লোকাল, এবং মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলো প্রতিটি ক্ষেত্রে গ্রাফিক্স ডিজাইনের বিস্তার রয়েছে। যেমন আমরা যেসব বই বা পেপার ম্যাগাজিন পড়ি, খাতায় লিখি, বাজার থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট কিনি সেগুলোর মোড়ক, বিভিন্ন কোম্পানির বিজ্ঞাপন, লোগো ইত্যাদি সবকিছুতেই গ্রাফিক্স ডিজাইন ব্যবহৃত হয়। আপনি নিজে যদি একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে যাত্রা শুরু করতে চান তাহলে গ্রাফিক্স ডিজাইন আপনার জন্য চমৎকার একটি মাধ্যম।
গ্রাফিক ডিজাইন শেখার জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ও দক্ষতা:
- Adobe Photoshop, QuarkXPress, Adobe Illustrator, Autodesk Maya, Adobe PageMaker ইত্যাদি ডিজাইন সফটওয়্যার ব্যবহারে দক্ষতা
- গ্রাফিক ডিজাইন শেখার বেসিক কিছু অংশ যেমন গ্রিড, কালার, টাইপোগ্রাফি, টেক্সার,শেপ, গোল্ডেন রেশিও ইত্যাদি সম্পর্কে ধারণা রাখা ।
- বর্তমান মার্কেটপ্লেসে কাজের চাহিদা অনুযায়ী কাজ করার প্রতিভা থাকা
- ডিজাইন কনসেপ্ট সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় রিসার্চ করার যোগ্যতা
- আধুনিক ও লেটেস্ট গ্রাফিক ডিজাইন ট্রেন্ড সম্পর্কে জ্ঞান।
- শব্দ, চিত্র এবং টাইপোগ্রাফির মাধ্যমে ডিজাইনকে জীবন্ত করে তোলার ক্ষমতা
অ্যানিমেশন এবং ভিডিওগ্রাফি:
বর্তমান যুগটাই হচ্ছে অ্যানিমেশনের যুগ। এখন গেমস থেকে শুরু করে বিজ্ঞাপন, কার্টুনসহ মিলিয়ন ডলার বাজেটের সিনেমা সবকিছুতেই অ্যানিমেশন এবং স্পেশাল ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট চোখে পড়ার মতো।
একটি চমৎকার অ্যানিমেশন একটি সাধারণ ছবি বা ভিডিওকেও প্রাণবন্ত এবং জীবন্ত করে তুলতে পারে।
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিংয়ের সবচেয়ে দামী কাজ গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো অ্যানিমেশন এবং ভিডিওগ্রাফি।বর্তমানে বিজ্ঞাপন, মিউজিক ভিডিও,কার্টুন, চলচ্চিত্র, নাটক, শর্ট ফিল্ম ও অফিসিয়াল প্রেসেন্টেশন তথা সব ধরণের ভিডিওতেই থাকে অ্যানিমেশন এবং ভিডিওগ্রাফির জাদু।
ডিজিটাল মিডিয়ার এই স্বর্ণযুগে সিনেমা ইন্ডাট্রিজ, টেলিভিশন চ্যানেল, নিউজ এজেন্সি, বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান,ব্যক্তিগত সংগঠন, অনলাইন মার্কেটার, এফিলিয়েট মার্কেটার কিংবা বিভিন্ন কোম্পানি সব জায়গাতেই রয়েছে ডিজিটাল কন্টেন্টের প্রচুর চাহিদা। তাই প্রফেশনাল এনিমেশন ডিজাইনার ও ভিডিও এডিটরদের কাজের ক্ষেত্র ও সুযোগ এখন সারাবিশ্বে।
গ্রাফিক ডিজাইন, ইলাস্ট্রেশন, অ্যানিমেশন এবং ভিডিওগ্রাফির আরো কয়েকটি উল্লেখযোগ্য পেশা হলো:
- CAD Designer
- Vector Designer
- Logo,Flyer,Brochure & Poster Designe
- Photoshop Editor
- Website Mockup Designer
- Book Cover Designer
- T-Shirt Designer
- Banner/Ad Designer
- Digital Artist
- Concept Artist
- Oil Painter
- Sketch Artist
- Vector Illustrator
- Photography and Videography
- Social Media Video Creator
- YouTube Video Editor
- Video Animator
- Intro Videos
- Explainer Videos
- Stop-Motion Videos
- Record Podcast Ads
- Video Testimonials
- Cartoon Artist
- Photo Editor
- Sketch Artist
- Vector Illustrator
- YouTube Thumbnail Artist
- 2D & 3D Animator
অ্যানিমেশন এবং ভিডিওগ্রাফির জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ও দক্ষতা:
- ডিজাইন এবং অ্যানিমেশন সফটওয়্যার যেমন Adobe After Effects, Adobe Animate,VFX,Autodesk Maya, Blender, Adobe Photoshop , Illustrator ইত্যাদি ব্যবহারে দক্ষতা।
- 2D & 3Dরেন্ডারিং,ভিজুয়াল ইফেক্টস, ক্যারেক্টার মডেলিং এবং রিগিং সম্পর্কে জ্ঞান।
- ভিডিও তৈরির জন্য visual storytelling techniques & Motion Graphics কৌশল জানা
- সিনেমাটোগ্রাফি সংশ্লিষ্ট নীতি সম্পর্কে ধারণা যেমন framing, lighting এবং composition
- Creativity and design analysis এ সক্ষমতা
ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট
ওয়েব ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং জগতের আরেকটি জনপ্রিয় ও সম্ভাবনাময় ক্যাটাগরি। সহজ কথায় একটি ওয়েবসাইট তৈরী করা, সাইটটিকে ইন্টারনেটে দৃষ্টিনন্দভাবে উপস্থাপন করা এবং সাইটিকে অনলাইন সার্ভিসের জন্য উপযুক্ত করার জন্য যে সকল কাজ করতে হয় সেটাই হলো ওয়েব ডিজাইন অ্যান্ড ওয়েব ডেভেলপমেন্ট। ।
বর্তমানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর অনলাইন পরিচিতির লাভেরজন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হলো তার ওয়েব সাইট।সকল পেশার মানুষই তাদের পণ্য এবং পরিষেবা প্রচার এবং প্রসারের জন্য বিশ্বব্যাপী প্রতিদিন তৈরী করছে নতুন নতুন ওয়েবসাইট।আর এই ওয়েবসাইটগুলো প্রফেশনাল ভাবে শৈল্পিকতা ও সৃজনশীলতার সাথে ডিজাইন এবং ডেভেলপ করার কাজ করে থাকে ওয়েব ডিজাইনার ও ওয়েব ডেভেলপাররা।
ওয়েব ডিজাইন (Web Design)
ওয়েব ডিজাইন হলো একটা ওয়েবসাইটের নকশা বা ডিজাইন কেমন হবে সেটা পরিকল্পনা করা। অর্থাৎ একটি Website এর সম্পূর্ণ Template বা অবকাঠামো তৈরি করা। যেমন এটার সম্পূর্ণ লেয়াউট (layout) অর্থাৎ মেনু(Menu Bar), টেক্সট ফন্ট কালার সাইজ(text font color &size), ছবি( image), টুলবার(toolbar), হেডার(header) , সাইডবার(sidebar) ইত্যাদি আইকন(icons) গুলো কোথায় কিভাবে সাজানো থাকবে।
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট(Web Development)
ওয়েবসাইটে কন্টেন্টগুলোকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন এবং সন্নিবেশ করার জন্য একটি কাঠামো তৈরির
পরিকল্পনা করা হচ্ছে ওয়েব ডিজাইন। আর ওয়েব ডেভলপমেন্ট হলো প্রতিটা ফিচারকে সক্রিয় করে সেই ওয়েবসাইটকে ব্যবহারযোগ্য ও জীবন্ত করে তোলার কাজ।এই কাজের মধ্যে রয়েছে কনটেন্টম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এবং ডাটা প্রসেসিং, এডমিন,ইউজারদের ক্ষমতাএবং সিকিউরিটি নিয়ন্ত্রণ, অর্থাৎ সমগ্র সিস্টেমের কার্যকারীতা এবং ব্যবহার যোগ্যতা নিশ্চিত করা।
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ৩ ধরণের :
1.ফ্রন্ট-এন্ড ডেভেলপমেন্ট, 2.ব্যাক-এন্ড ডেভেলপমেন্ট & 3.ফুল-স্ট্যাক ডেভেলপমেন্ট
ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্টএর জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ও দক্ষতা:
- PHP, Python, Ruby, Node.js ইত্যাদি প্রোগ্রামিং ভাষা জানা।
- অ্যাডোব ক্রিয়েটিভ স্যুটে দক্ষতা যেমন Photoshop, Illustrator, Sketch, Figma ইত্যাদি।
- MySQL, MongoDB, PostgreSQL ইত্যাদি ডাটাবেস প্রযুক্তিতে দক্ষতা।
- ওয়েব এপ্লিকেশনস যেমন ওয়েবসাইট হোস্টিং, ডোমেইন ম্যানেজমেন্ট, সাইট ম্যানেজমেন্ট এবং কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সম্পর্কে ধারণা।
- user-friendly interfaces তৈরীতে UI/UX অনুশীলনের জ্ঞান
- ওয়েবসাইটগুলি বিভিন্ন ডিভাইসে সুদৃশ্যভাবে উপস্থাপনের জন্য responsive design techniques এর সাথে পরিচিতি।
- Bootstrap, React.JS, Angular, View.JS-এর মতো ফ্রন্টএন্ড ফ্রেমওয়ার্কের জ্ঞান।
- Git এর মতো সংস্করণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার সাথে পরিচিতি
- client requirements এবং concepts বোঝা ও সেই অনুসারে design তৈরির দক্ষতা।
ফ্রিল্যান্স সেলস এন্ড মার্কেটিং সার্ভিস (ডিজিটাল মার্কেটিং):
বর্তমানে বিশ্বের সকল কোম্পানি তাদের ব্যবসার দ্রুত সম্প্রসারণের প্রয়োজনে ইন্টারনেট জগতের উপর
অনেকটাই নির্ভরশীল। ইন্টারনেটের মাধ্যমে যেকোনো প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবার প্রচারণা ওই সব কাস্টমার বা ক্লায়েন্টের কাছে পৌঁছানো খুব সহজ যারা ওই প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিসের প্রতি আগ্রহী বা সম্ভাব্য গ্রাহক। অনলাইনের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে টার্গেটেড কাস্টমার বা ক্লায়েন্টের কাছে নিজের পণ্য বা সেবা উপস্থাপনের এই স্ট্র্যাটেজিকেই ডিজিটাল মার্কেটিং বলা হয়।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য পেশা হলো:
- Branding Services
- Outdoor Advertising
- Presentation Designer
- Email Outreach
- Traffic Generation
- Market Research
- Content Marketer
- SEO Consultant
- Human resources
- PR Submission
- Online Advertising Expert
- Social Media Editor
- Digital Marketing and SEO
- Translation and Language Services
- Content Strategist
- Legal Consultant
- Marketing Strategist
- Social Media Manager
- Project Manager
- Data Analyst
- Affiliate marketing
ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ও দক্ষতা:
- ভিডিও, ব্লগ,নিউজলেটার, পডকাস্ট,সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ইত্যাদি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আকর্ষণীয়,তথ্যপূর্ণ এবং বিষয়ভিত্তিক কন্টেন্ট তৈরী ও কপিরাইটিং স্কিল প্রয়োজন।
- বিভিন্ন ধরণের মার্কেটিং ডেটা এবং মেট্রিক্স বিশ্লেষণের দক্ষতা।
- Google Ads এবং Facebook Ads এর মতো পেইড পার ক্লিক বিজ্ঞাপন প্ল্যাটফর্মে মার্কেটিং ক্যাম্পেন পরিচালনায় পারদর্শিতা।
- ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্রাটেজিতে অভিজ্ঞ হওয়া Content Marketing ,mobile marketing & Email Marketing ইত্যাদি।
- ক্রিয়েটিভ মার্কেটিং এবং নিত্যনতুন আইডিয়া উদ্ভাবনের যোগ্যতা
- SEO,SEM/SEO, CRM ইত্যাদি সম্পর্কে জ্ঞান।
- Google Workspace, Slack,Quickbooks, Wave, Hootsuite,Semrush, Ubersuggest,MeetFox,Grammarly, Hemingway App,Toggl, Clockify ইত্যাদি টুল ব্যবহারের অভিজ্ঞতা।
- অ্যাডোব ফটোশপ বা ক্যানভার মত ডিজাইন সফটওয়্যার ব্যবহারে প্রাথমিক জ্ঞান।
- Customer relationship management (CRM) systems, Market Research Conversion Rate Optimization এবং Consumer Behavior Analysis এ পারদর্শিতা ।
ফ্রিল্যান্স আইটি পরিষেবা এবং প্রোগ্রামিং:
আইটি(IT) বা Information Technology এর বিকাশের চলমান অগ্রগতির কারণে বর্তমানে ফ্রিল্যান্স আইটি পেশাদারদের চাহিদা অনেক বেশি।এই সেক্টরের মধ্যে রয়েছে ওয়েবসাইট, অ্যাপস এবং সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, সফটওয়্যার টেস্টিং, ডাটা এন্ট্রি,ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট, নেটওয়ার্ক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, সাইবার সিকিউরিটি, আইটি কনসাল্টিং, প্রোগ্রামিং, ইউএক্স ডিজাইন ইত্যাদির মতো বেশ কিছু প্রযুক্তিগত কাজ ।
ফ্রিল্যান্স আইটি পরিষেবা এবং প্রোগ্রামিং এর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য পেশা হলো:
- Programming and Software Development
- Game Developer
- Virtual Assistance and Admin Support
- IT support
- WordPress Expert
- Bug Fixing
- Server Administrator
- Website Builder
- App Developer
- Data analysis
- Network administration
ফ্রিল্যান্স আইটি পরিষেবা এবং প্রোগ্রামিং এর জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ও দক্ষতা:
- বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ভাষার জ্ঞান, কোডিং ক্যাপাবিলিটি, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট
- সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের দক্ষতা যেমন কোড ডিজাইন, টেস্টিং, ডাটাবেইজ ম্যানেজমেন্টের জ্ঞান ইত্যাদি
- বেসিক কম্পিউটিং ও ইংলিশে ভালো দখল
- ডাটা স্ট্রাকচার (hash table,array,linked list, Tree,Stack,HIP,Queue ইত্যাদি )এবং অ্যালগরিদম(sorting,searching ইত্যাদি )এর বেসিক বিষয়গুলো সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে।
- সাইবার নিরাপত্তা, নেটওয়ার্ক সেটআপ ও সিকিউরিটি ম্যানেজমেন্ট বিষয়ক জ্ঞান;
- প্রজেক্ট সংক্রান্ত হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের বিস্তারিত পরিকল্পনা তৈরি, লজিকাল থিংকিং এবং সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা
- প্রোগ্রামিং কনসেপ্ট Object Oriented Programming (OOP) সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারনা অর্থাৎ (Inheritance, Encapsulation & Polymorphism)
- বিভিন্ন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কন্ট্রোল টুল, রিপোর্ট টুলের ব্যবহার জানতে হবে যেমন Fiddler, Crystal Report,Putty,SSH Connection, SSL Certificate, Cloud Computing Telerik, Datatables ইত্যাদি।
শেষ কথা
বর্তমান যুগে ডিজিটাল প্রযুক্তি উন্নতির সাথে সাথে ফ্রিল্যান্সিং পেশাটির জনপ্রিয়তাও বাড়ছে এবং লাখো মানুষ তাদের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপান্তরিত করার সুযোগ পাচ্ছে।সেইসাথে আরো নতুন নতুন জব অপশনও অনলাইনে আসছে।
তবে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে টিকে থাকতে হলে আপনার নিজের উৎসাহ,আগ্রহ ও প্যাশনকে গুরুত্ব দিয়ে আপনার জন্য সঠিক ও সেরা কাজটি বেছে নিন এবং সেই অনুসারে স্কিল ডেভেলপ করুন।সেই সাথে কঠোর পরিশ্রম ও অনুশীলনের মাদ্ধমে নিজেকে যোগ্য করে তুলতে হবে।মূলকথা হলো দৃঢ় সংকল্প, ধৈর্য এবং চ্যালেঞ্জ নেয়ার সাহস হলো ফ্রিল্যান্সার হিসাবে একটি ক্যারিয়ারের গোড়ার পূর্ব শর্ত।
তথ্যসূত্রঃ