ভিডিও এডিটিং এর চাহিদা কেমন?
অনেকেই জিজ্ঞেস করে থাকেন ভিডিও এডিটিং কিভাবে শিখব? উত্তর সহজ।প্রযুক্তির এই যুগে আপনার জন্য কোন একটি বিষয় দক্ষ হয়ে ওঠা আগের মতো কঠিন কিছু নয়। আপনি যদি সঠিকভাবে গুগল এবং ইউটিউব সার্চ করে কোন প্র্রশ্নের উত্তর খুজে বের করা শিখে ফেলতে পারেন তাহলে যে কোন স্কিল রপ্ত করা সম্ভব।
আপনি যদি এডোবি প্রিমিয়ার প্রো এর কাজ ভালো শিখতে পারেন এবং দক্ষতা অর্জন করতে পারেন তবে পার্ট- টাইম কাজ করেও মাসে আনুমানিক ৪০-৫০ হাজার টাকা চাকুরী করেই আয় করতে পারবেন। আর যদি সময়ের সাথে সাথে আপনি দা ভিঞ্চি, আফটার ইফেক্ট সফটওয়্যার এর কাজ টাও শিখে ফেলতে পারেন তাহলে মাসে ৮০ হাজার টাকা বেতনের চাকুরী পেতে সক্ষম হবেন।
আপনি যদি ইউটিউবে বা ফেসবুকে আপলোড করার জন্য ভিডিও এডিটিং শিখতে চান তবে এই আর্টিকেল টি আপনার জন্য।এছাড়া বিভিন্ন ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার এবং বেশ কিছু ইউটিউব চ্যানেল এর লিঙ্ক দেয়া হল যা আপনাকে ভিডিও এডিট শিখতে সাহায্য করবে।আপনি ভিডিও এডিটিং করে ইউটিউব বা ফেসবুকের মাধ্যমে মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে ধৈর্য ধরে ভিডিও এডিটিং শিখতে হবে।
আপনি চাইলে ফ্রীল্যান্সিং করেও (Fiverr, Upwork, Freelancer, Seoclerk) টাকা ইনকাম করতে পারবেন।বিভিন্ন ডিজিটাল এজেন্সি বা আইটি কোম্পানি তে ভিডিও এডিটর হিসেবে চাকুরী অথবা ব্যবসা ও করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে দক্ষভাবে ভিডিও এডিটিং শিখতে হবে।সাম্প্রতিক সময়ে ভিডিও কনটেন্টের চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আর কোন আকর্ষণীয় ভিডিও কনটেন্টই ভিডিও এডিটিং ছাড়া সম্ভব না।
আপনি যদি এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে জানতে চান তবে লিঙ্কে ক্লিক করুন।ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করার সহজ উপায় ধাপে ধাপে শিখে টাকা ইনকাম করতে চাইলে লিঙ্কে ক্লিক করুন।
ভিডিও এডিটিং কিভাবে শিখব?
ভিডিও এডিটিং শেখা এখন শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র।আপনি নীচের কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে পারলেই হতে পারবেন একজন সফল ভিডিও এডিটর।
ভিডিও এডিটিং এর মূল বিষয়গুলি বুঝুন:
প্রথমেই আপনাকে জানতে হবে ভিডিও এডিটিং কী এবং এর উদ্দেশ্য ৷ তাই এর বেসিক টার্মসগুলোর সাথে পরিচিত হোন। যেমনঃ এডোবি প্রিমিয়ার প্রো এর যে টুলস গুলো আছে সেগুলোকে কিভাবে ব্যবহার করতে হয় জানুন।তারপর একটি ভিডিও ফাইল কিভাবে ইমপোর্ট করতে হয়, এক্সপোর্ট করতে হয় এবং বিভিন্ন টার্মস গুলো শিখতে শুরু করুন যেমনঃFPS,NTSC,PAL,Monetage, Layer,Masking,Clip speed ইত্যাদি।
- আসলে, ইউটিউব চ্যানেল ভিডিও এডিটিং শেখার এক দুর্দান্ত জায়গা। যেখান থেকে আপনি বেশ কিছু চ্যানেল ফলো করে Basic থেকে Advance লেভেল পর্যন্ত খুব সহজেই ভিডিও এডিটিং শিখতে পারেন। আমরা বেশ কিছু ইউটিউব চ্যানেল লিঙ্ক এই আর্টিকেলের নিচের অংশে দিয়ে দিয়েছি যাতে আপনি অনায়াসে ফ্রি তে বেসিক এডিটিং শিখতে ফেলতে পারেন।
আপনার পছন্দের ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার বাছাই করুন:
- আপনি যদি বেসিক নন কমার্শিয়াল এডিটিং এর জন্য Filmora বা Capcut বা অনেকে Camtasia ব্যবহার করতে পারেন। যদিও Capcut বেশি ইউজার ফ্রেন্ডলি।
- কমার্শিয়াল এবং নন-কমার্শিয়াল দুই ধরনের এডিটিং এর জন্য Adobe Premiere Proসেরা একটি অপশন কারন আপনি শিখতে গিয়ে যেখানেই আটকে যান না কেন এর রিসোর্স এবং ভিডিও আকারে সমাধান সহজেই ইউটিউব এ পেয়ে যাবেন।
- একি ভাবে আপনি DaVinci Resolve দিয়েও এডিটিং করতে পারবেন এবং কালার গ্রেড এর সুবিধা এই সফটওয়্যার এ বেশি কিন্তু এর প্রিসেট এবং ভিডিও টিউটোরিয়াল আকারে সমাধান অনেক সময় খুজে পাওয়া যায় না।
- আমাদের মতে, আপনি যদি Adobe Premiere Pro টা শিখে নিতে পারেন ভালো ভাবে তাহলে এর পর Adobe After Effects এবং পরে DaVinci Resolve শিখতে পারলে দারুন হবে।
- ভিডিও এডিটিং এর জন্য জনপ্রিয় কিছু সফটওয়্যারএর নাম দেওয়া হল যার মধ্য থেকে আপনি আপনার পছন্দের সফটওয়্যার টি বেছে নিন –
আপনি দুই ভাবে ভিডিও এডিটিং শিখতে পারেন। যদি আপনার কম্পিউটার থাকে তবে কম্পিউটারের মাধ্যমে আপনি ভিডিও এডিটিং শিখতে পারবেন অথবা আপনার হাতের স্মার্টফোন টি দিয়েও আপনি চাইলে ভালো ভিডিও এডিটিং শিখতে পারবেন।কম্পিউটারে শিখতে চাইলে আপনাকে জানতে হবে ভিডিও এডিট করার সফটওয়্যার কোনগুলো তা সম্পর্কে।
আর যদি আপনি আপনার মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং শিখতে চান তবে আপনার প্রয়োজন একটি ভালো স্মার্টফোন এবং আপনাকে জানতে হবে ভিডিও এডিট করার কিছু অ্যাপস সম্পর্কে।
মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিট করার কিছু অ্যাপস–
এখন সময় বদলে গেছে। কম্পিউটারের পরিবর্তে মানুষ চাইলে স্মার্টফোন দিয়েও ভিডিও এডিটিং করতে পারে।আপনার হাতের স্মার্ট ফোনটির মধ্যে অনেক জনপ্রিয় সফটওয়্যার দিয়েও একে বারে সহজেই ভিডিও করতে পারেন। নিচে কিছু মোবাইল ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার এর নাম দেয়া হলো:
সফটওয়্যার গুলোর ব্যবহার শিখুন: আপনি একটি নির্দিষ্ট সফটওয়্যার বাছাই করুন। এই সফ্টওয়্যারগুলির বেশিরভাগেরই তাদের ওয়েবসাইটে অফিসিয়াল টিউটোরিয়াল রয়েছে। এর সঠিক ব্যবহার জানতে টিউটোরিয়ালের সাহায্য নিন।
সাধারণ ভিডিও ক্লিপগুলি এডিটিংকরে অনুশীলন করুন এবং ধীরে ধীরে আপনার দক্ষতার উন্নতির সাথে সাথে আরও জটিল প্রোজেক্ট গ্রহণ করুন।
দেখবেন অতি শীঘ্রই আপনি ভিডিও এডিটর হয়ে উঠছেন। আর এই উদ্দীপনাই ভবিষ্যতে আপনাকে একজন দক্ষ ভিডিও এডিটর হিসেবে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
- এডিটিং এর কৌশল শিখুন: সফটওয়্যার ব্যবহার করার সময়, মুল ভিডিও এডিট করার কৌশলগুলি শিখতে শুরু করুন যেমন:
– ট্রিম এবং কাট: ক্লিপগুলির অংশগুলি নির্বাচন এবং সরানোর মূল বিষয়গুলি৷
– ট্রানজিশন: কীভাবে নির্বিঘ্নে এক ক্লিপ বা দৃশ্য থেকে অন্য দৃশ্যে যাওয়া যায়।
– কালার গ্রেডিং: স্টাইলিস্টিক এফেক্টের জন্য আপনার ভিডিওতে কালার সামঞ্জস্য করা।
– টেক্সট এবং টাইটেল যোগ করা: আপনার ভিডিওতে টেক্সট এবং টাইটেল কীভাবে অন্তর্ভুক্ত করবেন।
– অডিও সম্পাদনা: অডিও ইফেক্টস যোগ করা।
– ইফেক্ট এবং ফিল্টার: আপনার ভিডিও উন্নত করতে বিশেষ ভিজ্যুয়াল এফেক্ট যোগ করা ।
- অভ্যাস এবং অনুশীলন: ভিডিও এডিটিং সহ যেকোনো নতুন দক্ষতা শেখার চাবিকাঠি হল ধারাবাহিক অনুশীলন। ছোট প্রকল্প দিয়ে শুরু করুন, যেমন আপনার নিজের ধারনকৃত একটি ছোট ভিডিও থেকেই ভিডিও এডিটিং শুরু করতে পারেন। ধীরে ধীরে আরও চর্চা বাড়িয়ে দিন এবং আরও জটিল প্রোজেক্ট হাতে নিন।
- অনলাইন কমিউনিটিগুলিতে যোগ দিন: ভিডিও এডিটরদের অসংখ্য অনলাইন কমিউনিটি রয়েছে যারা বিভিন্ন ধরনের টিপস, কৌশল এবং তাদের পরামর্শ ও মতামত প্রকাশ করে থাকে যা আপনাকে দক্ষ করতে সাহায্য করবে। Reddit (যেমন, r/VideoEditing), ফিল্মমেকিং ফোরাম এবং সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইটগুলি খুব সহায়ক হতে পারে।
- www.facebook.com
- www.facebook.com
- পেশাদারদের কাছ থেকে শিখুন: Coursera, রবি 10min School, Lead Academy, Instructory থেকে অল্প বাজেটে (সার্টিফিকেটসহ) এমনকি YouTube-এর মতো ওয়েবসাইটে বিনামূল্যে ভিডিও এডিটিং কোর্স পাওয়া যায়। যেখানে পেশাদাররা তাদের পরামর্শ ও সঠিক দিক নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। এগুলি আপনাকে আরও কাঠামোগত শেখার অভিজ্ঞতা এবং উন্নত কৌশলগুলির সম্পর্কে সঠিক গাইডলাইন দিতে পারে।
- একটি পোর্টফোলিও তৈরি করুন: আপনি আরও ভিডিও তৈরি করার সাথে সাথে আপনার কাজের প্রদর্শনের জন্য একটি পোর্টফোলিও তৈরি করুন৷ আপনি যদি পেশাদারভাবে ভিডিও এডিটিং করতে চান তবে এটি কার্যকর হতে পারে।
মনে রাখবেন, ভিডিও এডিটিং শেখা হল, একটি যাত্রা। এটি একটি সৃজনশীল দক্ষতা যেখানে শেখার এবং পরীক্ষা করার জন্য সবসময় নতুন কিছু থাকে।এছাড়া আপনার যদি অনলাইন ইনকামের সহজ উপায় জানতে চান তবে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
ভিডিও এডিটিং কোর্স
আপনি যদি ভিডিও এডিটিং করে আয় করতে চান তবে আপনার উচিত ভিডিও এডিটিং কোর্স কেনা।কিন্তু যদি ফ্রীতে কোর্স করতে চান তাহলে ইউটিউবে আপনি প্রচুর ভিডিও এডিটিং টিউটোরিয়াল পেয়ে যাবেন। সেখান থেকে যেকোনো একটি সফটওয়্যার বা মোবাইল এপসের ভিডিও এডিটিং কোর্স বিনামূল্যে করতে পারবেন। এর জন্য প্রয়োজন হবে আপনার মেধা, ধৈর্য, ভালো একটি স্মার্টফোন বা কম্পিউটার, ভালো মানের ইন্টারনেট সংযোগ। না জেনে না বুঝে অবশ্যই সস্তা মানের কোন কোর্স কেনার পূর্বে যাচাই বাছাই করে নিবেন। ইউটিউবে এ অসংখ্য রিসোর্স আছে সেগুলো ব্যবহার করার চেষ্টা করেন।
এছাড়াও বর্তমানে আমাদের দেশে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনেক প্রতিষ্ঠান ১ মাস,৩ মাস বা ৬ মাসের কোর্স করানো হয়, যেখান থেকে ভিডিও এডিটিং শিখে আপনি ভিডিও এডিট করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।আরও পড়ুন ড্রপশিপিং নিয়ে।
ভিডিও এডিটিং শিখতে কত দিন লাগে?
আপনি যদি ভিডিও এডিটিং শিখতে চান তবে মনযোগ দিয়ে শিখলে আপনি ১ সপ্তাহে প্রারম্ভিক কোর্স সম্পন্ন করতে পারবেন। তবে ভালোভাবে শিখতে কার কত মাস সময় লাগবে তা বলা মুশকিল।এটি সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনি কত বেশি চর্চা, সময়, সঠিক নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছেন তার উপরে।
আর আপনি যদি প্রফেশনাল ভাবে ভিডিও এডিটিং শিখতে চান তবে আপনাকে দীর্ঘদিন ধরে শিখতে হবে।সাধারণত ৩ বা ৬ মাসের কোর্স করে আপনি হয়ে যেতে পারেন একজন প্রফেশনাল ভিডিও এডিটর।কিন্তু বাস্তবতা হল এই পেশা একটি সৃজনশীল এবং সময় সাপেক্ষ পেশা।
অনলাইনে ভিডিও এডিট করে কিভাবে?
অনলাইনে ভিডিও এডিটিং করতে চাইলে কিছু ওয়েবসাইট আছে আপনি সেখান থেকে ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন। Invideo, pictory.ai, vimeo.com, synthesys.io এমন আরো অসংখ্য Ai Tools ব্যবহার করে আপনি নিমিষেই ভিডিও এডিট করতে পারবেন।এক্ষেত্রে অবশ্যই ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হয়, সফটওয়ারটিতে অধিকাংশ ভিডিও এডিট করতে।
এমন আরো অসংখ্য Ai Tools ব্যবহার করে আপনি নিমিষেই ভিডিও এডিট করতে পারবেন।এক্ষেত্রে অবশ্যই ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হয়, সফটওয়ারটিতে অধিকাংশ ভিডিও এডিট করতে।
ভিডিও এডিটিং শেখার (টিউটোরিয়ালসহ) বেশ কিছু ইউটিউব চ্যানেল লিঙ্কঃ
এখানে বেশ কিছু বাংলা চ্যানেলের লিঙ্ক দেয়া হল।
বাংলা চ্যানেল:
এছাড়াও ভালো ভিডিও এডিটর দের জন্যও রয়েছে প্রচুর চাকরির সুযোগ। এখন স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের সকল প্রকার প্রতিষ্ঠানে ভিডিও করে বিজ্ঞাপন, প্রচার বা অন্যান্য অনেক কাজ করে থাকে তাই আপনি যদি ভিডিও এডিটিং করতে পারেন সব জায়গায় আপনার কাজ করার সুযোগ রয়েছে।আপনি যদি অনলাইন ইনকাম সম্পর্কে আর জানতে চান তবে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন।