চোখ ভালো রাখার ঘরোয়া উপায়: আমাদের চোখ হল আমাদের জগত দেখার জানালা। দৈনন্দিন জীবনের ব্যস্ততা ও ডিজিটাল যুগের আধিক্যে চোখের যত্ন নেওয়া কখনো কখনো আমাদের ভুলে যায়। তবে কিছু সহজ ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করে আমরা আমাদের চোখকে সুস্থ রাখতে পারি।
চোখ ভালো রাখার জন্য কিছু কার্যকর ঘরোয়া উপায়:
পর্যাপ্ত বিশ্রাম: চোখকে সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত জরুরি। রাতে কমপক্ষে ৭-৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে।
পানি পান: শরীরের পানিশূন্যতা চোখকে শুষ্ক করে দিতে পারে। তাই দিনে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন।
চোখের ব্যায়াম: নিয়মিত চোখের ব্যায়াম চোখের পেশিকে শক্তিশালী করে এবং চোখের ক্লান্তি দূর করে।
সুষম খাদ্য: বিভিন্ন ধরনের ফল, শাকসবজি, বাদাম এবং মাছ খাওয়া চোখের জন্য উপকারী। বিশেষ করে গাজর, পালং শাক, ব্লুবেরি, বাদাম ও মাছ চোখের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো।
সুর্যের আলো: দিনে কিছুক্ষণ সূর্যের আলোতে থাকা চোখের জন্য উপকারী। তবে সরাসরি সূর্যের আলোতে তাকানো থেকে বিরত থাকুন।
ডিজিটাল ডিভাইসের ব্যবহার কমান: কম্পিউটার, মোবাইল ফোন ইত্যাদি ডিজিটাল ডিভাইসের ব্যবহার কমানোর চেষ্টা করুন। যদি ব্যবহার করতে হয়, তাহলে প্রতি ২০ মিনিট পর চোখকে বিশ্রাম দিন ।
চশমা ব্যবহার: যদি চশমা ব্যবহার করার প্রয়োজন হয়, তাহলে নির্ধারিত পাওয়ারের চশমা ব্যবহার করুন।
ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার: ধূমপান ও মদ্যপান চোখের জন্য ক্ষতিকর।
চোখে হাত না দেওয়া: ঘন ঘন চোখে হাত দেওয়া চোখে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।
নিয়মিত চোখ পরীক্ষা: বছরে একবার চোখ পরীক্ষা করানো উচিত।
চোখের ব্যায়ামের কিছু উদাহরণ:
- চোখ উপরে, নিচে, ডানে, বাঁয়ে ঘুরান।
- চোখ ঘড়ির কাঁটার দিকে ও বিপরীত দিকে ঘুরান।
- দূরে কোনো একটি বিন্দুতে তাকিয়ে তারপর কাছে কোনো একটি বিন্দুতে তাকান।
চোখ ভালো রাখার জন্য কোন ভিটামিন প্রয়োজন
চোখ ভালো রাখার জন্য কিছু নির্দিষ্ট ভিটামিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ভিটামিনগুলো চোখের বিভিন্ন সমস্যা প্রতিরোধ করে এবং দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে।
চোখের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন:
১। ভিটামিন এ: এটি চোখের রাতের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এবং কর্নিয়ার স্বাস্থ্য রক্ষা করে। গাজর, মিষ্টি আলু, পালং শাক, কেল ইত্যাদি ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার।
২। ভিটামিন সি: এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা চোখকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এমন ফ্রি র্যাডিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই করে। সাইট্রাস ফল, স্ট্রবেরি, বেল মরিচ ইত্যাদি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ।
৩। ভিটামিন ই: ভিটামিন সির সাথে মিলে কাজ করে এবং চোখের ছানি পড়া ও বয়সজনিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশন প্রতিরোধ করে। বাদাম, বীজ, উদ্ভিজ্জ তেল ইত্যাদি ভিটামিন ই সমৃদ্ধ।
৪। ভিটামিন ডি: চোখের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং বয়সজনিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশনের ঝুঁকি কমায়। সূর্যের আলো, ফ্যাটি মাছ, দুধ ইত্যাদি ভিটামিন ডি এর উৎস।
৫। লুটেইন ও জেক্সানথিন: এই দুটি ক্যারোটিনয়েড চোখের ম্যাকুলাকে সুরক্ষা দেয় এবং বয়সজনিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশন প্রতিরোধ করে। পালং শাক, কেল, ব্রোকলি ইত্যাদি এই উপাদানগুলো সমৃদ্ধ।
এছাড়াও, বিভিন্ন বি ভিটামিন যেমন থায়ামিন, রাইবোফ্লাভিন, নিয়াসিন ইত্যাদি চোখের স্নায়ুর স্বাস্থ্য রক্ষা করে।
কোন খাবারে কোন ভিটামিন পাওয়া যায়:
১। গাজর, মিষ্টি আলু: ভিটামিন এ
২। পালং শাক, কেল, ব্রোকলি: ভিটামিন এ, সি, ই, লুটেইন, জেক্সানথিন
৩। সাইট্রাস ফল: ভিটামিন সি
৪। বাদাম, বীজ: ভিটামিন ই
৫। ফ্যাটি মাছ: ভিটামিন ডি
৬। দুধ: ভিটামিন ডি
চোখ ভালো রাখতে কোন খাবার খাবেন জেনে নিন-
চোখ ভালো রাখার জন্য খাবার: একটি বিস্তারিত নির্দেশিকা
আমাদের চোখ হল আমাদের জগত দেখার জানালা। এই জানালাটিকে সুস্থ রাখতে সঠিক খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরী। কিছু নির্দিষ্ট খাবারে থাকা ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ চোখের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
চোখ ভালো রাখার জন্য কোন খাবারগুলো খাওয়া উচিত?
গাজর: গাজরে প্রচুর পরিমাণে বিটা-ক্যারোটিন থাকে, যা শরীরে গিয়ে ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়। ভিটামিন এ চোখের রাতের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
পালং শাক: পালং শাকে ভিটামিন এ, সি এবং ই রয়েছে। এছাড়াও, এতে লুটেইন ও জেক্সানথিন নামক দুটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা চোখের ম্যাকুলাকে সুরক্ষা দেয়।
ব্রোকলি: ব্রোকলি ভিটামিন সি, কে এবং ই-এ সমৃদ্ধ। এছাড়াও, এতে লুটেইন ও জেক্সানথিন রয়েছে।
মিষ্টি আলু: মিষ্টি আলুতে বিটা-ক্যারোটিন প্রচুর পরিমাণে থাকে, যা ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়।
আম: আমে ভিটামিন এ এবং বিটা-ক্যারোটিন প্রচুর পরিমাণে থাকে।
ব্লুবেরি: ব্লুবেরিতে অ্যান্থোসায়ানিন নামক একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা চোখের ছানি পড়া প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
বাদাম: বাদামে ভিটামিন ই এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা চোখের জন্য উপকারী।
মাছ: ফ্যাটি মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড প্রচুর পরিমাণে থাকে, যা চোখের শুষ্কতা এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
ডিম: ডিমে লুটেইন এবং জেক্সানথিন রয়েছে।
সাইট্রাস ফল: সাইট্রাস ফলে ভিটামিন সি প্রচুর পরিমাণে থাকে।
চোখের দৃষ্টি ৬/৬ করার উপায়
চোখের দৃষ্টি ৬/৬ মানে আপনার চোখ স্বাভাবিকভাবে দেখতে পাচ্ছে। তবে, একবার চোখের নম্বর বেড়ে গেলে তা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা খুবই কঠিন। তবে কিছু উপায় অবলম্বন করে আপনি আপনার চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারেন এবং চোখের নম্বর আরও বৃদ্ধি হওয়া রোধ করতে পারেন।
চোখের দৃষ্টি ৬/৬ করার জন্য কিছু কার্যকর উপায়:
চোখের ব্যায়াম: নিয়মিত চোখের ব্যায়াম চোখের পেশিকে শক্তিশালী করে এবং চোখের ক্লান্তি দূর করে।
সুষম খাদ্য: বিভিন্ন ধরনের ফল, শাকসবজি, বাদাম এবং মাছ খাওয়া চোখের জন্য উপকারী। বিশেষ করে গাজর, পালং শাক, ব্লুবেরি, বাদাম ও মাছ চোখের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো।
পর্যাপ্ত বিশ্রাম: চোখকে সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত জরুরি। রাতে কমপক্ষে ৭-৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে।
পানি পান: শরীরের পানিশূন্যতা চোখকে শুষ্ক করে দিতে পারে। তাই দিনে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন।
ডিজিটাল ডিভাইসের ব্যবহার কমান: কম্পিউটার, মোবাইল ফোন ইত্যাদি ডিজিটাল ডিভাইসের ব্যবহার কমানোর চেষ্টা করুন। যদি ব্যবহার করতে হয়, তাহলে প্রতি ২০ মিনিট পর চোখকে বিশ্রাম দিন।
সুর্যের আলো: দিনে কিছুক্ষণ সূর্যের আলোতে থাকা চোখের জন্য উপকারী। তবে সরাসরি সূর্যের আলোতে তাকানো থেকে বিরত থাকুন।
চশমা ব্যবহার: যদি চশমা ব্যবহার করার প্রয়োজন হয়, তাহলে নির্ধারিত পাওয়ারের চশমা ব্যবহার করুন।
ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার: ধূমপান ও মদ্যপান চোখের জন্য ক্ষতিকর।
চোখে হাত না দেওয়া: ঘন ঘন চোখে হাত দেওয়া চোখে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।
নিয়মিত চোখ পরীক্ষা: বছরে একবার চোখ পরীক্ষা করানো উচিত।
চোখের ব্যায়ামের কিছু উদাহরণ:
- চোখ উপরে, নিচে, ডানে, বাঁয়ে ঘুরান।
- চোখ ঘড়ির কাঁটার দিকে ও বিপরীত দিকে ঘুরান।
- দূরে কোনো একটি বিন্দুতে তাকিয়ে তারপর কাছে কোনো একটি বিন্দুতে তাকান।
- কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন:
- যদি চোখে ব্যথা, লালচে ভাব, অস্পষ্ট দৃষ্টি বা দ্বিধা দেখা দেয়।
- যদি চোখে জল আসে বা চুলকায়।
- যদি চোখে কিছু বসে থাকে।
এই সব উপায়গুলি অনুসরণ করে আপনি আপনার চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারবেন এবং চোখের নম্বর আরও বৃদ্ধি হওয়া রোধ করতে পারবেন। তবে কোনো সমস্যা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
চোখের ঝাপসা দূর করবেন কি করে দেখে নিন-
একদম ঠিক বলেছেন! চোখের ঝাপসা অনেক কারণে হতে পারে। যদি এটি কোনো গুরুতর চোখের সমস্যার কারণে না হয়, তাহলে ঘরোয়া উপায়ে এবং জীবনধারা পরিবর্তন করে অনেকটা উন্নতি করা সম্ভব। আসুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
কেন হয় ঝাপসা দৃষ্টি?
চোখের চাপ: দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটারে কাজ করা, মোবাইল ফোন ব্যবহার করা, বা পড়াশোনা করার ফলে চোখের পেশি ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং ঝাপসা দেখা দেয়।
শুষ্ক চোখ: পরিবেশ দূষণ, এয়ার কন্ডিশনারের বাতাস, কিছু ওষুধ ইত্যাদির কারণে চোখ শুষ্ক হয়ে যেতে পারে এবং ঝাপসা দেখা দিতে পারে।
বয়স: বয়স বাড়ার সাথে সাথে চোখের লেন্সের স্বচ্ছতা কমে যেতে পারে এবং ঝাপসা দেখা দিতে পারে।
অন্যান্য কারণ: ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, মাইগ্রেন, কিছু ধরনের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ইত্যাদিও চোখের ঝাপসার কারণ হতে পারে।
ঝাপসা দৃষ্টি দূর করার উপায়
চোখের ব্যায়াম: নিয়মিত চোখের ব্যায়াম চোখের পেশিকে শক্তিশালী করে এবং চোখের ক্লান্তি দূর করে।
উপরে, নিচে, ডানে, বাঁয়ে চোখ ঘোরানো।
দূরে কোনো একটি বিন্দুতে তাকিয়ে তারপর কাছে কোনো একটি বিন্দুতে তাকান।
সুষম খাদ্য: বিভিন্ন ধরনের ফল, শাকসবজি, বাদাম এবং মাছ খাওয়া চোখের জন্য উপকারী। বিশেষ করে গাজর, পালং শাক, ব্লুবেরি, বাদাম ও মাছ চোখের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো।
পর্যাপ্ত বিশ্রাম: রাতে কমপক্ষে ৭-৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে।
পানি পান: দিনে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন।
ডিজিটাল ডিভাইসের ব্যবহার কমান: কম্পিউটার, মোবাইল ফোন ইত্যাদি ডিজিটাল ডিভাইসের ব্যবহার কমানোর চেষ্টা করুন। যদি ব্যবহার করতে হয়, তাহলে প্রতি ২০ মিনিট পর চোখকে বিশ্রাম দিন।
চশমা ব্যবহার: যদি চশমা ব্যবহার করার প্রয়োজন হয়, তাহলে নির্ধারিত পাওয়ারের চশমা ব্যবহার করুন।
ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার: ধূমপান ও মদ্যপান চোখের জন্য ক্ষতিকর।
নিয়মিত চোখ পরীক্ষা: বছরে একবার চোখ পরীক্ষা করানো উচিত।
কোন খাবার খেলে চোখের ক্ষতিকর হয় জানেন কি?
আমরা সকলেই জানি, সুষম খাদ্য শরীরের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু কিছু খাবার আছে যা চোখের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
চোখের জন্য ক্ষতিকর খাবারের তালিকা:
উচ্চ পরিমাণে শর্করাযুক্ত খাবার: অতিরিক্ত শর্করাযুক্ত খাবার রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদে মোটিয়াবিণ্ডের মতো চোখের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
প্রক্রিয়াজাত খাবার: প্রক্রিয়াজাত খাবারে উচ্চ পরিমাণে সোডিয়াম, চিনি এবং অস্বাস্থ্যকর চর্বি থাকে, যা চোখের জন্য ক্ষতিকর।
অতিরিক্ত পরিমাণে লবণ: অতিরিক্ত লবণ শরীরে পানি ধরে রাখতে পারে এবং চোখের চাপ বাড়িয়ে দিতে পারে।
অ্যালকোহল: অ্যালকোহল শরীরের পানির ভারসাম্য নষ্ট করে এবং চোখের শুষ্কতা বাড়িয়ে দিতে পারে।
ক্যাফেইন: অতিরিক্ত ক্যাফেইন চোখের রক্তনালীকে সংকীর্ণ করে দিতে পারে এবং চোখের চাপ বাড়িয়ে দিতে পারে।
কেন এই খাবারগুলো চোখের জন্য ক্ষতিকর?
রক্তচাপ বৃদ্ধি: উচ্চ রক্তচাপ চোখের রক্তনালীকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এবং ম্যাকুলা ডিজেনারেশন ও ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির মতো গুরুতর চোখের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
শরীরের পানির ভারসাম্য নষ্ট: অতিরিক্ত লবণ এবং অ্যালকোহল শরীরের পানির ভারসাম্য নষ্ট করে এবং চোখের শুষ্কতা বাড়িয়ে দিতে পারে।
প্রদাহ: প্রক্রিয়াজাত খাবারে থাকা কিছু উপাদান শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে, যা চোখের জন্য ক্ষতিকর।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের অভাব: প্রক্রিয়াজাত খাবারে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ কম থাকে, যা চোখের কোষগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে রক্ষা করে।
চোখ ভালো রাখার জন্য কি খাবেন?
ফল: বিশেষ করে সাইট্রাস ফল, বেরি জাতীয় ফল এবং গাজর।
শাকসবজি: পালং শাক, ব্রোকলি, গাজর ইত্যাদি।
বাদাম: বাদামে ভিটামিন ই এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা চোখের জন্য উপকারী।
মাছ: ফ্যাটি মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড প্রচুর পরিমাণে থাকে, যা চোখের শুষ্কতা এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
ডিম: ডিমে লুটেইন এবং জেক্সানথিন রয়েছে।
চোখ ভালো রাখার দোয়া
ইসলামে চোখের সুরক্ষার দোয়া:
ইসলামে চোখের সুরক্ষার জন্য বিভিন্ন দোয়া ও আমল রয়েছে। এগুলো নিয়মিত পড়লে চোখের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং বদ দৃষ্টি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
সুরমা লাগানো: হাদিসে এসেছে, সুরমা চোখের জন্য উপকারী এবং দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়।
আয়াতুল কুরসি পড়া: আয়াতুল কুরসি সব ধরনের شر থেকে রক্ষা করে।
সুরা ফাতিহা পড়া: সুরা ফাতিহা পড়লে আল্লাহর রহমত পাওয়া যায়।
আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযু বিকা মিন ফিতnatil wa’an ‘আইনিল হাসিদ (আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযু বিকা মিন ফিতnatil wa’an ‘আইনিল হাসিদ) – এই দোয়াটি বদ দৃষ্টি থেকে রক্ষা করে।
আল্লাহুম্মা বারিক ফী রিযকিনা ওা ফী আইনিনা (আল্লাহুম্মা বারিক ফী রিযকিনা ওা ফী আইনিনা) – এই দোয়াটি রিযিক ও দৃষ্টিশক্তিতে বরকত দান করে।
অন্যান্য ধর্মে:
হিন্দু ধর্ম: হিন্দু ধর্মে গায়ত্রী মন্ত্র, শিবের নাম জপ ইত্যাদি চোখের সুরক্ষার জন্য করা হয়।
খ্রিস্টান ধর্ম: খ্রিস্টান ধর্মে প্রার্থনা করে চোখের স্বাস্থ্যের জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা হয়
বিজ্ঞান ও ধর্ম:
ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দোয়া করলে মানসিক শান্তি পাওয়া যায় এবং স্বাস্থ্য ভালো থাকে। তবে, চোখের কোনো সমস্যা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ধর্মীয় বিশ্বাস ও চিকিৎসা এই দুটি পরস্পর বিরোধী নয় বরং পরস্পর সম্পূরক।
আরও পড়ুন-
চোখের জ্যোতি বৃদ্ধির ব্যায়াম
চোখের জ্যোতি বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করা খুবই উপকারী। এই ব্যায়ামগুলো চোখের পেশিকে শক্তিশালী করে এবং চোখের ক্লান্তি দূর করে।
কিছু কার্যকর চোখের ব্যায়াম:
১। দূর-কাছের ফোকাস:
- একটি বিন্দু নির্বাচন করুন যা আপনার থেকে প্রায় 20 ফুট দূরে।
- এই বিন্দুতে 20 সেকেন্ড তাকান।
- তারপর আপনার নাকের ডগায় 10 সেকেন্ড তাকান।
- এই প্রক্রিয়াটি বারবার পুনরাবৃত্তি করুন।
২। চোখ ঘোরানো:
- চোখকে ঘড়ির কাঁটার দিকে এবং বিপরীত দিকে ধীরে ধীরে 10 বার ঘুরান।
- চোখকে উপরে, নিচে, ডানে এবং বাঁয়ে ধীরে ধীরে নড়ান।
৩। পলক ফোঁটা:
- দ্রুত দ্রুত 20-30 বার পলক ফোঁটান।
- এরপর চোখ বন্ধ করে কয়েক সেকেন্ড বিশ্রাম নিন।
৪। হাতের তালু দিয়ে চোখ ঢাকা:
- হাতের তালু ঘষে গরম করে চোখের উপর রাখুন।
- কয়েক সেকেন্ড এভাবে থাকুন।
কখন করবেন:
আঙুলের মাথায় হালকা চাপ দিয়ে চোখের চারপাশে ম্যাসাজ করুন।
দিনে কয়েকবার এই ব্যায়ামগুলি করতে পারেন।