২৫২৪ পদে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন । স্মপ্রতি
প্রকাশিত নিয়গ বিজ্ঞপ্তিটিতে মোট ১৪ টি এটা করেছে ২৫২৪ পদে আবেদন করতে পারবেন।
আজকের আর্টিকেলটিতে সম্প্রতি প্রকাশিত হওয়া ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর বিজ্ঞপ্তি শূন্য পদ , যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা , এর কাজ, আবেদন প্রক্রিয়া/ নিয়ম, মাসিক বেতন ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি। চলুন দেখে নেই- ২৫২৪ পদে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৪ | DLRS Job New Circular 2024
ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৪ সংক্ষিপ্ত বিবরণ
- ১। প্রতিষ্ঠানের নামঃ ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর
- ২। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশঃ ০৩ অক্টোবর ২০২৪
- ৩। বিজ্ঞপ্তি সংখ্যাঃ ১টি
- ৪। চাকরির ধরনঃ সরকারি চাকরি
- ৫। ক্যাটাগরিঃ ১৪টি
- ৬। শূন্যপদঃ ২৫২৪টি
- ৭। যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতাঃ নিম্মোক্ত বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশিত যোগ্যতা সম্পন্ন নারী এবং পুরুষ আবেদন করতে পারবেন।
- ৮। আবেদন করার মাধ্যমঃ অনলাইন
- ৯। আবেদন শুরু করার তারিখঃ০৬ অক্টোবর ২০২৪ইং
- ১০। আবেদনের শেষ তারিখঃ২৭ অক্টোবর ২০২৪ইং
ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৪ শূন্য পদ সমূহ বিস্তারিত
- ১। পদের নাম: সাঁট-লিপিকার-কাম-কম্পিউটার অপারেটর
- পদ সংখ্যা: ০৫ টি।
- শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি।
- বেতন ভাতা : ১১,০০০ – ২৬,৫৯০ টাকা।
- ২। পদের নাম: সার্ভেয়ার
- পদ সংখ্যা: ৮৫ টি।
- শিক্ষাগত যোগ্যতা: ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং (সার্ভেয়িং) টেকনোলজি।
- বেতন ভাতা : ১০,২০০ – ২৪,৬৮০ টাকা।
- ৩। পদের নাম: ট্রাভার্স সার্ভেয়ার
- পদ সংখ্যা: ০৪ টি।
- শিক্ষাগত যোগ্যতা: ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং (সার্ভেয়িং) টেকনোলজি।
- বেতন ভাতা : ৯,৭০০ – ২৩,৪৯০ টাকা।
- ৪। পদের নাম: কম্পিউটার
- পদ সংখ্যা: ০৮ টি।
- শিক্ষাগত যোগ্যতা: ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং (সার্ভেয়িং) টেকনোলজি।
- বেতন ভাতা : ৯,৭০০ – ২৩,৪৯০ টাকা।
- ৫। পদের নাম : ড্রাইভার
- পদ সংখ্যা : ১২ টি।
- শিক্ষাগত যোগ্যতা : জেএসসি পাশ।
- বেতন ভাতা : ৯,৭০০ – ২৩,৪৯০ টাকা।
- ৬। পদের নাম : নাজির কাম ক্যাশিয়ার
- পদ সংখ্যা : ১৭ টি।
- শিক্ষাগত যোগ্যতা : উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমান পাস।
- অন্যান্য যোগ্যতা : কম্পিউটার টাইপিং-এ প্রতি মিনিটে শব্দের গতি বাংলা ও ইংরেজিতে যথাক্রমে ২০ ও ২০
- বেতন ভাতা : ৯,৩০০ – ২২,৪৯০ টাকা।
- ৭। পদের নাম : অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক
- পদ সংখ্যা : ২১ টি।
- শিক্ষাগত যোগ্যতা : উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমান পাস।
- অন্যান্য যোগ্যতা : কম্পিউটার টাইপিং-এ প্রতি মিনিটে শব্দের গতি বাংলা ও ইংরেজিতে যথাক্রমে ২০ ও ২০
- বেতন: ৯,৩০০ – ২২,৪৯০ টাকা।
- ৮। পদের নাম : পেশকার
- পদ সংখ্যা : ৩৭৮ টি।
- শিক্ষাগত যোগ্যতা : উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমান পাস।
- অন্যান্য যোগ্যতা : কম্পিউটার টাইপিং-এ প্রতি মিনিটে শব্দের গতি বাংলা ও ইংরেজিতে যথাক্রমে ২০ ও ২০
- বেতন : ৯,৩০০ – ২২,৪৯০ টাকা।
- ৯। পদের নাম : রেকর্ড কিপার
- পদ সংখ্যা : ২৯১ টি।
- শিক্ষাগত যোগ্যতা : এইচএসসি পাশ।
- বেতন: ৯,৩০০ – ২২,৪৯০ টাকা।
- ১০। পদের নাম : খারিজ সহকারী
- পদ সংখ্যা : ৪৭৪ টি।
- শিক্ষাগত যোগ্যতা : উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমান পাস।
- বেতন : ৯,৩০০ – ২২,৪৯০ টাকা।
- ১১। পদের নাম : যাঁচ মোহরার
- পদ সংখ্যা : ৪২২ টি।
- শিক্ষাগত যোগ্যতা : উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমান পাস।
- বেতন : ৯,৩০০ – ২২,৪৯০ টাকা।
- ১২। পদের নাম : কপিষ্ট কাম বেঞ্চ সহকারী
- পদ সংখ্যা : ৪৮০ টি।
- শিক্ষাগত যোগ্যতা : উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমান পাস।
- অন্যান্য যোগ্যতা : কম্পিউটার টাইপিং-এ প্রতি মিনিটে শব্দের গতি বাংলা ও ইংরেজিতে যথাক্রমে ২০ ও ২০
- বেতন: ৯,৩০০ – ২২,৪৯০ টাকা।
- ১৩। পদের নাম : অফিস সহায়ক
- পদ সংখ্যা : ১৮২ টি।
- শিক্ষাগত যোগ্যতা : মাধ্যমিক বা সমমান পাস।
- বেতন: ৮,২৫০ – ২০,০১০ টাকা।
- ১৪ পদের নাম : চেইনম্যান
- পদ সংখ্যা : ১৪৫ টি।
- শিক্ষাগত যোগ্যতা : মাধ্যমিক বা সমমান পাস।
- বেতন: ৮,২৫০ – ২০,০১০ টাকা।
ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৪ এর শর্ত ও নিয়মাবলি
০১। সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ০৮ শ্রাবন ১৪৩১/২৩ জুলাই ২০২৪ তারিখের ০৫,০০,০০০০,১৭০,১১,০১৪-২৪-১৪১ নং পরিপত্রে উল্লিখিত কোটা সংক্রান্ত বিধিবিধান অনুসরণ করা হবে।
০২। আবেদনপত্র পূরণ সংক্রান্ত শর্তাবলী।
ক। পরীক্ষায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক বাক্তি http.odirs.teletalk.com.bd এই ওয়েবসাইটে আবেদনপত্র পূরণ করতে পারবেন। আবেদনের সময়সীমা নিম্নরূপ: Online-এ আবেদনপত্র পূরণ ও আবেদন ফি জমাদান শুরুর তারিখ ও সময়। ০৬/১০/২০১৪ খ্রিষ্টাব্দ সকাল ১০:০০ ঘটিকা।
খ। Online-এ আবেদনপত্র জমাদানের শেষ তারিখ ও সময়: ২৭/১০/২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ বিকাল ৫.০০ ঘটিকা। উক্ত সময়সীমার মধ্যে User ID প্রাপ্ত প্রার্থীগণ Online- এ আবেদনপত্র Submit এর সময় থেকে পরবর্তী ৭২ (বাহাত্তর) ঘন্টার মধ্যে SMS এর মাধ্যমে পরীক্ষার ফি জমা দিতে পারবেন। Online আবেদনপত্রে প্রার্থী তার স্বাক্ষর (দেখা ৩০০ X প্রন্থ ৮০ Pixels ও রঙিন ছবি (দৈর্ঘ্য ৩০০ X গ্রন্থ ৩০০ Pixel) স্ক্যান করে নির্ধারিত স্থানে Upload করবেন। ছবির সাইজ সর্বোচ্চ 100KB ও স্বাক্ষরের সাইজ সর্বোচ্চ 60KB হতে হবে।
গ. Online-এ আবেদনপত্রে পূরণকৃত তথাই মেহেতু পরবর্তী সকল কার্যক্রমে ব্যবহৃত হবে সেহেতু Online-এ আবেদনপত্র Sulimit করার পূর্বেই পূরণকৃত সকল তথ্যের সঠিকতা সম্পর্কে প্রার্থী নিজে শতভাগ নিশ্চিত হবেন।
ঘ. প্রার্থী Online-এ পূরণকৃত আবেদনপত্রের একটি প্রিন্ট কপি পরীক্ষা সংক্রান্ত যে কোন প্রয়োজনে সহায়ক হিসেবে সংরক্ষণ করবেন এবং মৌখিক পরীক্ষার সময় ০১(এক) কপি জমা দিবেন। ৪. SMS প্রেরণের নিয়মাবলী ও পরীক্ষার ফি প্রধান। Online-এ আবেদনপত্র (Application Form: যথাযথভাবে পূরণ করে নির্দেশনামতে ছবি এবং স্বাক্ষর Upload
৩। . Online-এ আবেদনপত্রে পূরণকৃত তথাই যেহেতু পরবর্তী সকল কার্যক্রমে ব্যবহৃত হবে সেহেতু Online-এ আবেদনপত্র Submit করার পূর্বেই পূরণকৃত সকল তথ্যের সঠিকতা সম্পর্কে প্রার্থী নিজে শতভাগ নিশ্চিত হবেন। ঘ. প্রার্থী Online-এ পূরণকৃত আবেদনপত্রের একটি প্রিন্ট কপি পরীক্ষা সংক্রান্ত যে কোন প্রয়োজনে সহায়ক হিসেবে সংরক্ষণ করবেন এবং মৌখিক পরীক্ষার সময় ০১(এক) কপি জমা দিবেন।
৪. SMS প্রেরণের নিয়মাবলী ও পরীক্ষার ফি প্রদান: Online-এ আবেদনপত্র (Application Form) যথাযথভাবে পূরণ করে নির্দেশনামতে ছবি এবং স্বাক্ষর Upload করে আবেদনপত্র Submit সম্পন্ন করা হলে কম্পিউটারে ছবিসহ Application Preview দেখা যাবে। নির্ভুলভাবে আবেদনপত্র Submit করা সম্পন্ন প্রার্থী একটি User ID, ছবি এবং স্বাক্ষরযুক্ত একটি Applicants copy পাবেন। উক্ত Applicant’s Copy Download পূর্বক রঙিন প্রিণ্য করে সংরক্ষন করবেন।
Applicant’s Copy Oত একটি User ID নম্বর দেয়া থাকবে এবং User ID নম্বর বাবস্থার করে প্রার্থী নিম্নোক্ত পদ্ধতিতে যে কোন Teletalk Pre-paid Mobile নম্বরের মাধ্যমে ০২ (দুই) টি SMS করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বর্ণিত ছকে ০১ হতে ১২ নং ক্রমিকে বর্ণিত পদের জন্য পরীক্ষার ফি বাবদ ২০০/- (দুইশত) টাকা ও Teletalk এর সার্ভিস চার্জ বাবদ ২৫/- (তেইশ) টাকাসহ (অফেরতযোগ্য) মোট ২২৫/- (দুইশত তেইশ) টাকা এবং ক্রমিক ১৩ ও ১৪ এ বর্ণিত পদের জন্য পরীক্ষার ফি বাবদ ১০০ (একশত) টাকা ও Tolotalk এর সার্ভিস চার্জ বাবদ ১২/- (বার) টাকাসহ (অফেরতযোগ্য) মোট ১১২/- (একশত বার) টাকা অনধিক ৭২ (বাহাত্তর। ঘন্টার মধ্যে জমা দিবেন।
এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য “Online-এ আবেদনপত্রের সকল অংশ পুরণ করে Submit করা হলেও পরীক্ষার ফি জমা না দেয়া পর্যন্ত Online আবেদনপত্র কোন অবস্থাতেই গৃহীত হবে না”।
প্রথম SMS: DLRS<space>User ID লিখে Send করতে হবে 16222 নম্বরে। Example DLRS ABCDEF & Sond to 16222. Reply: Applicant’s Name. Tk. 223 will be charged as application fee. Your PIN is 12345678. To pay fee Type DLRS<space>Yes<space>PIN and Send to 16222.
দ্বিতীয় SMS: DLRS<space>Yes<space>PIN লিখে Send করতে হবে 16222 নম্বরে। Reply: Congratulations. Applicant’s Name, Payment completed successfully for DLRS Application for (post name) User ID is (ABCDEF) and Password (xxx) Example: DLRS YES 12345678.
৫। প্রবেশপত্র প্রাপ্তির বিষয়টি: httpadirs.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটে এবং প্রার্থীর মোবাইল ফোনে SMS এর মাধ্যমে (শুধুমাত্র যোগ্য প্রার্থীদেরকে) যথাসময়ে জানানো হবে। Onlineo আবেদনপত্রে প্রার্থীর প্রদত্ত মোবাইল ফোনে পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় যোগাযোগ সম্পন্ন করা হবে বিধায় উক্ত নম্বরটি সার্বক্ষণিক সচল রাখা, SMS পড়া এবং প্রান্ত নির্দেশনা তাৎক্ষণিকভাবে অনুসরণ করা বাঞ্চনীয়।
৬। SMS এ প্রেরিত User ID এবং Password ব্যাবহার করে পরবর্তীতে রোল নম্বর, পদের নাম, ছবি, পরীক্ষার তারিখ, সময় ও স্থান।কেন্দ্রের নাম ইত্যাদি তথ্য সম্বলিত প্রবেশপত্র প্রার্থী Download পূর্বক রঙিন কপি প্রিন্ট করে নিবেন। প্রার্থী প্রবেশপত্রটি লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সময় এবং উত্তীর্ণ হলে ব্যবহারিক) মৌখিক পরীক্ষার সময় অবশ্যই প্রদর্শন করবেন।
ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৪ এর অফিসিয়াল নোটিশ
ভূমি জরিপ কখন হবে ২০২৪?
ভূমি জরিপ ২০২৪ সালে সাধারণত নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হয়, তবে সঠিক তারিখ এবং সময় স্থানীয় সরকার বা ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপর নির্ভর করে। সাধারণত, ভূমি জরিপের মাধ্যমে জমির সীমানা নির্ধারণ, মালিকানা নিবন্ধন এবং ভূমি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
২০২৪ সালে ভূমি জরিপের সম্ভাব্য সময়সূচি সম্পর্কে কিছু সাধারণ দিক:
- পূর্ববর্তী প্রস্তুতি: ভূমি জরিপের আগে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে হয়, যেমন জরিপের জন্য জমির মানচিত্র তৈরি, স্থানীয় জনগণের সঙ্গে আলোচনা ইত্যাদি।
- জরিপ কার্যক্রম: সাধারণত এই কার্যক্রমে সঠিকভাবে জমির সীমানা চিহ্নিত করা হয় এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
- প্রকাশনা এবং প্রতিবেদন: জরিপের ফলাফল সবার জন্য প্রকাশ করা হয়, যাতে জনগণ নিজেদের জমির তথ্য সম্পর্কে অবগত হতে পারে।
নির্দিষ্ট তারিখ ও সময়ের জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা ভূমি ব্যবস্থাপনা দপ্তরের অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তি অনুসরণ করতে হবে। যদি আপনার কোনো নির্দিষ্ট এলাকার জন্য তথ্য প্রয়োজন হয়, তবে স্থানীয় সরকার অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করা ভালো।
ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের কাজ কি?
ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর (Department of Land Records and Survey) একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারী প্রতিষ্ঠান, যা ভূমি ব্যবস্থাপনা এবং সম্পর্কিত কার্যক্রমের জন্য দায়ী। এর মূল কাজগুলো নিম্নরূপ:
১. ভূমি জরিপ:
ভূমি জরিপ অধিদপ্তর ভূমির সীমানা, পরিমাণ এবং অবস্থান নির্ধারণের জন্য জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করে। এটি মানচিত্র তৈরিতে সহায়তা করে এবং জমির সঠিক তথ্য সংগ্রহ করে।
২. ভূমি রেকর্ড সংরক্ষণ:
এটি জমির মালিকানা, হস্তান্তর, এবং অন্যান্য তথ্য সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করে। ভূমির মালিকানার তথ্য সঠিকভাবে আপডেট করে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরবরাহ করে।
৩. ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনা:
ভূমি ব্যবহারের পরিকল্পনা এবং উন্নয়ন নীতিমালা তৈরি করে, যাতে ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়।
৪. জনগণের সেবা প্রদান:
জনসাধারণের ভূমি সংক্রান্ত অভিযোগ, তথ্যের চাহিদা এবং অন্যান্য সেবা প্রদান করে। এটি নাগরিকদের জন্য ভূমির মালিকানা সনদ এবং অন্যান্য কাগজপত্র সরবরাহ করে।
৫. আইনগত কার্যক্রম:
ভূমি সংক্রান্ত আইন ও বিধি অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করে এবং জমির বিরোধ মীমাংসায় সহায়তা করে।
৬. ভূমি উন্নয়ন প্রকল্প:
ভূমি উন্নয়ন প্রকল্পে অংশগ্রহণ করে, যার মাধ্যমে সারা দেশে ভূমি ব্যবস্থাপনা উন্নত করা হয়।
৭. গবেষণা ও উন্নয়ন:
ভূমি সংক্রান্ত গবেষণা এবং উন্নয়ন কার্যক্রমে অবদান রাখে, যাতে ভূমি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তি ও পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত করা যায়।
এই দপ্তর দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়নে একটি কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে এবং ভূমি সঠিকভাবে ব্যবহার ও সংরক্ষণে সহায়তা করে।
বাংলাদেশের ভূমি রেকর্ড কি?
বাংলাদেশের ভূমি রেকর্ড মূলত ভূমির মালিকানা, সীমা, অবস্থান ও ব্যবহারের তথ্য সংরক্ষণের একটি সরকারি ব্যবস্থা। এটি ভূমির আইনগত স্বীকৃতি নিশ্চিত করে এবং ভূমি সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভূমি রেকর্ডের কিছু মূল দিক হলো:
ভূমি রেকর্ডের ধরন
- খতিয়ান: এটি একটি নথি যা জমির মালিকের নাম, জমির পরিমাণ, অবস্থান এবং অন্যান্য বিস্তারিত তথ্য প্রদান করে।
- জমার জরিপ: জমির সঠিক অবস্থান ও সীমানা নির্ধারণের জন্য সরকারের দ্বারা পরিচালিত একটি জরিপ প্রক্রিয়া।
- ভূমি ব্যবস্থাপনা: ভূমির মালিকানা এবং ব্যবহারের তথ্য সংরক্ষণ এবং আপডেট করার জন্য বিভিন্ন সরকারি বিভাগ কাজ করে।
ভূমি রেকর্ডের উপকারিতা
- আইনগত সুরক্ষা: জমির মালিকদের জন্য আইনগত সুরক্ষা নিশ্চিত করে, যাতে তারা তাদের সম্পত্তি নিয়ে বিরোধিত হতে না পারে।
- বৈষম্য হ্রাস: ভূমির সঠিক রেকর্ডিংয়ের মাধ্যমে ভূমি বিতরণে স্বচ্ছতা আনা সম্ভব হয়।
- আর্থিক সুবিধা: ব্যাংক ঋণ গ্রহণের জন্য জমির রেকর্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল।
চ্যালেঞ্জসমূহ
- দুর্নীতি: ভূমি রেকর্ডের প্রক্রিয়ায় কখনও কখনও দুর্নীতি ও অস্বচ্ছতা দেখা দেয়।
- অপ্রচলিত তথ্য: অনেক ক্ষেত্রেই পুরাতন তথ্যের কারণে সঠিক মালিকানা নিশ্চিত করা কঠিন হয়।
- প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা: ডিজিটাল রেকর্ডিং ব্যবস্থা এখনও সম্পূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
বর্তমান অবস্থা
বাংলাদেশ সরকার ভূমি রেকর্ড ব্যবস্থাকে আধুনিক করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে, যেমন ডিজিটাল ভূমি রেকর্ড ব্যবস্থা এবং অনলাইন সেবা। এতে করে ভূমি ব্যবস্থাপনা আরও সহজ ও স্বচ্ছ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সার্বিকভাবে, বাংলাদেশের ভূমি রেকর্ড ব্যবস্থা দেশের কৃষি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং এটি যথাযথভাবে পরিচালনা হলে ভূমি সংক্রান্ত সমস্যাগুলি সমাধানে সাহায্য করতে পারে।
বাংলাদেশে জমির রেকর্ড অনলাইনে কিভাবে চেক করব?
বাংলাদেশের ভূমি রেকর্ড একটি সরকারি নথি যা জমির মালিকানা, সীমারেখা, এবং অন্যান্য সম্পর্কিত তথ্য সংরক্ষণ করে। ভূমি রেকর্ড সঠিকভাবে পরিচালনা করা হলে জমি সংক্রান্ত বিরোধ ও সমস্যা মোকাবেলা করা সহজ হয়।
বাংলাদেশের ভূমি রেকর্ড
বাংলাদেশের ভূমি রেকর্ড সাধারণত তিনটি প্রধান স্তরে বিভক্ত:
- খতিয়ান: এটি জমির মালিকানা এবং তার সংক্রান্ত তথ্যের একটি রেকর্ড।
- সরজমিন: জমির সীমানা, আয়তন এবং অন্যান্য ভূ-স্থিরক তথ্যের নথি।
- আরজিরি: জমি বিক্রির, বন্দোবস্তের বা লিজের জন্য আবেদনপত্র।
জমির রেকর্ড অনলাইনে চেক করার পদ্ধতি
বাংলাদেশে জমির রেকর্ড অনলাইনে চেক করতে হলে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন:
- বাংলাদেশ ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে যান: ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট এ প্রবেশ করুন।
- অনলাইন সেবা নির্বাচন করুন: হোমপেজে ‘অনলাইন সেবা’ বা ‘ভূমি রেকর্ড’ বিভাগে যান।
- জমির তথ্য অনুসন্ধান করুন: সেখানে ‘জমির খতিয়ান/জমির মালিকানা’ অনুসন্ধানের অপশন নির্বাচন করুন।
- তথ্য প্রদান করুন: আপনার জেলার নাম, থানার নাম, এবং ইউনিয়নের নাম বা জমির তথ্য (যেমন: দাগ নম্বর) প্রদান করুন।
- তথ্য পরীক্ষা করুন: সঠিক তথ্য প্রদান করার পর আপনার জমির রেকর্ড পাওয়া যাবে। আপনি এখানে জমির মালিকানা, রেকর্ড, ও অন্যান্য তথ্য দেখতে পাবেন।
- ডাউনলোড ও প্রিন্ট: প্রাপ্ত তথ্য প্রয়োজন হলে ডাউনলোড করে অথবা প্রিন্ট করে রাখতে পারেন।
অন্যান্য তথ্য
- অনলাইন তথ্যের সঠিকতা নিশ্চিত করতে চেষ্টা করুন, কারণ মাঝে মাঝে তথ্য আপডেট হতে সময় লাগে।
- কোনো সমস্যা হলে স্থানীয় ভূমি অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন।
এইভাবে, আপনি সহজেই বাংলাদেশের জমির রেকর্ড অনলাইনে চেক করতে পারেন।
জমির রেকর্ড কত বছর পর পর হয়?
বাংলাদেশে জমির রেকর্ড সাধারণত প্রতি ৫-১০ বছর পর পর হালনাগাদ করা হয়। তবে এটি বিভিন্ন কারণে পরিবর্তিত হতে পারে, যেমন:
- প্রাকৃতিক পরিবর্তন: নদী, খাল, বা অন্যান্য প্রাকৃতিক কারণে জমির সীমানা পরিবর্তিত হলে নতুন রেকর্ড প্রয়োজন হয়।
- বিক্রয় বা স্থানান্তর: জমি বিক্রি, লিজ, বা অন্যভাবে স্থানান্তরের ক্ষেত্রে নতুন রেকর্ড তৈরি করা হয়।
- আইনি প্রক্রিয়া: আদালতের মাধ্যমে জমি সংক্রান্ত কোনো মামলা বা নিষেধাজ্ঞা থাকলে রেকর্ড পরিবর্তন করা হয়।
- ভূমি উন্নয়ন প্রকল্প: সরকারী উন্নয়ন প্রকল্প বা অবকাঠামোগত পরিবর্তনের কারণে জমির ব্যবহার পরিবর্তিত হলে রেকর্ড হালনাগাদ করা হয়।
জমির রেকর্ড হালনাগাদের প্রক্রিয়া
- জমি জরিপ: স্থানীয় সরকার ও ভূমি অফিস নিয়মিত জরিপের মাধ্যমে জমির তথ্য সংগ্রহ করে।
- তথ্য যাচাই: জমির মালিকানা এবং অন্যান্য তথ্য যাচাই করা হয়।
- নতুন রেকর্ড তৈরি: সমস্ত তথ্য সংগ্রহ এবং যাচাইয়ের পর নতুন রেকর্ড তৈরি করা হয়।
- সাধারণ জনগণের জন্য উন্মুক্ত: নতুন রেকর্ড জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয় যাতে তারা তাদের জমির তথ্য দেখতে পারে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট
- জমির রেকর্ডের সময়কাল নির্ভর করে স্থানীয় প্রশাসনের কার্যক্রমের উপর।
- সঠিক রেকর্ড থাকা জমি সংক্রান্ত বিরোধ মোকাবেলা সহজ করে।
এভাবে, জমির রেকর্ড সঠিক সময়ে হালনাগাদ করা হলে জমির মালিকানা ও ব্যবহার সংক্রান্ত তথ্য সঠিকভাবে সংরক্ষিত থাকে।
আরোও পড়ুন-