১০১ পদে গাইবান্ধা সিভিল সার্জন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৪ | Gaibandha Civil Surgeon Office New Job Circular 2024

১০১  পদে গাইবান্ধা সিভিল সার্জনে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। আজকের প্রকাশিত সিভিল সার্জন নিয়োগ সার্কুলারটিতে মোট ০৭ ক্যাটাগরিতে ১০১ পদে আবেদন করতে পারবেন। 

আজকের নিবন্ধে আপনারা গাইবান্ধাসিভিল সার্জন নিয়োগ বিজ্ঞপ্ততির শূন্য পদ, যোগ্যতা ও অবিজ্ঞতা, আবেদন করার পক্রিয়া/নিয়ম, পরীক্ষার প্রশ্ন ও pdf, সিভিল সার্জন কি, এর কাজ, বেতন এবং অন্যান্য সকল সিভিল সার্জন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত জানতে পারবেন। চলুন প্রথমে দেখে নেই- ১০১ পদে গাইবান্ধাব সিভিল সার্জন নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৪ /  Civil Surgeon Office Job Circular 2024 

গাইবান্ধা সিভিল সার্জন কার্যালয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৪ এক পলকে দেখি

  • ১। প্রতিষ্ঠানের নামঃ “গাইবান্ধা সিভিল সার্জন কার্যালয়”
  • ২। পদের নামসমূহঃ সাঁট-মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর, পরিসংখ্যানবিদ, স্টোর কিপার, স্বাস্থ্য সহকারী, ড্রাইভার.
  • ৩। পদ / শূন্যপদ সংখ্যাঃ ১০১  টি।
  • ৪। চাকরির ধরনঃ সরকারি চাকরি।
  • ৫। যোগ্যতা ও অবিজ্ঞতাঃ নিম্মোক্ত বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশিত যোগ্যতা সম্পন্ন নারী এবং পুরুষ আবেদন করতে পারবেন।
  • ৬। আবেদন করার বয়সঃ ১৮ -৩০ বছর।
  • ৭। বেতন ভাতাঃ ১০.২০০-২৪,৬৮০/- থেকে ৯,৩০০-২২,৪৯০/-
  • ৮। গাইবান্ধা সিভিল সার্জন কার্যালয় ওয়েবসাইটঃ https://cs.gaibandha.gov.bd/
  • ৯। আবেদন শুরু তারিখঃ ১৫ – ০৯ – ২০২৪।
  • ১০। আবেদন শেষ তারিখঃ  ১৪ – ১০ – ২০২৪।
  • ১১। আবেদন করার ওয়েবসাইটঃ cs.gaibandha.gov.bd 
  • ১২। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখঃ ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪।

গাইবান্ধা সিভিল সার্জন নিয়োগ ২০২৪ [ পদ,যোগ্যতা, বেতন]

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বারক নং-স্বাঃ অধিঃ/প্রশা-২/৩য় ৪র্থ শ্রেনী নিয়োগ-০১/২০১৮-(অংশ-২)/২০২২/৬৭৭৩, তারিখঃ- ০৮-১২-২০২২খ্রিঃএবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বারক নং ৪৫,০০,০০০০.১৪০.১১.০২১.২৩.২১০, তারিখঃ- ২৪/০১/২০২৪খ্রিঃ মোতাবেক সিভিল সার্জন, গাইবান্ধা ও তাঁর নিয়ন্ত্রণাধীন বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান সমূহে স্থায়ী রাজস্ব খাতের গ্রেড ভিত্তিক শুন্য পদে অস্থায়ীভাবে জনবল নিয়োগের জন্য গাইবান্ধা জেলার স্থায়ী বাসিন্দাদের নিকট হতে নিম্নেবর্ণিত শর্তে অনলাইনে (online)(http//alljobs.teletalk.com.bd/csgai বা http//esgai.teletalk.com.bd দরখাস্ত আহবান করা যাচ্ছে। অনলাইন ব্যতীত কোন আবেদন গ্রহন করা হবে না।

গাইবান্ধা সিভিল সার্জন নিয়োগ ২০২৪

গাইবান্ধা  সিভিল সার্জন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করার শর্তাবলী দেখুন

ইতিমধ্যে আমরা গাইবান্ধা সিভিল সার্জন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরছি। নিম্নে গাইবান্ধা সিভিল সার্জন নিয়োগের আবেদন করার শর্ত, বিশেষ নির্দেশনা, আবেদন সংক্রান্ত বিস্তারিত দেখতে পারবেন।

১। প্রার্থীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক ও গাইবান্ধা জেলার স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। সিভিল সার্জন, গাইবান্ধা বরাবর আবেদন করতে হবে। একজন প্রার্থী শুধুমাত্র একটি পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন, একাধিক পদে আবেদন করলে আবেদন বাতিল বলিয়া গণ্য হবে। 

২. আগ্রশর্তাবলীঃহী পদে প্রার্থী (http//csgai.teletalk.com.bd-এ ওয়েবসাইটে online-এ আবেদন করতে পারবেন। ওয়েবসাইটে প্রকাশিত নির্দেশিকা মোতাবেক ফর্ম পূরণ করতে হবে। 

৩. নিয়োগ ও কোটা নির্ধারনের ক্ষেত্রে সরকারের সর্বশেষ আইন, নীতি ও বিধিবিধান প্রতিপালিত হইবে। 

8. আবেদনকারীর বয়স ১৫/০৯/২০২৪ইং তারিখে সর্বনিম্ম ১৮ (আঠার) এবং সর্বোচ্চ ৩০ (ত্রিশ) বৎসর হতে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার পুত্র/কন্যা হিসেবে চাকরি প্রার্থী/ প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩২ (বত্রিশ) বৎসর। বয়সের ক্ষেত্রে এফিডেভিট গ্রহণযোগ্য নহে।

 ৫. উক্ত নিয়োগের জন্য প্রার্থীকে নির্বাচনের ক্ষেত্রে নিয়োগবিধি মোতাবেক লিখিত ও মৌখিক (প্রয়োজন বোধে ব্যবহারিক) পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। 

৬। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মহাখালী, ঢাকার কার্যালয়ের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির স্বারক নং-স্বাঃঅধিঃ/প্রশা-২/৩য় শ্রেণী নিয়োগ-১/২০১৮/২৬৫৪, তারিখঃ- ১১/৬/২০১৮খ্রি মোতাবেক প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে উল্লিখিত পদে যারা আবেদন করিয়াছেন, তাদের পুনরায় আবেদন করার প্রয়োজন নাই। 

৭। প্রার্থী কর্তৃক প্রদত্ত যে কোন তথ্য অসত্য বা মিথ্যা প্রমাণীত হলে অথবা প্রয়োজনীয় তথ্য গোপন করলে অথবা কোন অযোগ্যতা ধরা পড়লে অথবা কোন অসদুপায় অবলম্বন করলে অথবা পরীক্ষার কেন্দ্রে দুর্ব্যবহার করলে পরীক্ষার পূর্বে বা পরে, এমনকি নিয়োগের পরে যে কোন পর্যায়ে প্রার্থীতা বা নিয়োগ বাতিল করা সহ প্রার্থীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে।

৮।  সরকারের পূর্বানুমতি ব্যতিরেকে কোন প্রার্থী কোন বিদেশী নাগরিককে বিবাহ করলে বা বিবাহ করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলে তিনি আবেদনের অযোগ্য বিবেচিত হবেন।  

৯।প্রজাতন্ত্রের কর্মে অথবা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অধীন চাকুরিরত প্রার্থীদের মধ্যে যোগ্য এবং নির্ধারিত বয়সের প্রার্থীরা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমতিপ্রাপ্ত হলে নিয়োগের জন্য নির্ধারিত প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

১০. কোটা বিষয়ে বিদ্যমান নীতিমালা প্রযোজ্য হইবে। 

১১. বীর মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার পুত্র/কন্যা হিসেবে চাকরি প্রার্থীকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী/উপদেষ্টা কর্তৃক স্বাক্ষরিতও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উপদেষ্টা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী/প্রধান উপদেষ্টা কর্তৃক প্রতিস্বাক্ষরিত মূল সনদপত্র অথবা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কর্তৃক স্বাক্ষরিত এবং মাননীয় মন্ত্রী/উপদেষ্টা কর্তৃক প্রতিস্বাক্ষরিত সাময়িক সনদপত্র মৌখিক পরীক্ষার সময় প্রদর্শন করতে হবে। এরূপ সনদ পত্র ব্যতীত অন্য কোন সনদপত্র মুক্তিযোদ্ধা সনদ হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে না। উল্লেখ্য যে, আবেদনকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা পুত্র/কন্যা এই মর্মে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও পৌরসভার মেয়র/কাউন্সিলর কর্তৃক সনদপত্র/ প্রত্যয়ন পত্র দেখাতে হবে।

 ১২. প্রতিবন্ধী প্রার্থীদেরকে সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীন জেলা সমাজসেবা অফিসের উপ-পরিচালক/সম মর্যাদা সম্পন্ন/দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্তৃক স্বাক্ষরিত প্রতিবন্ধী সনদ দাখিল করতে হবে। 

১৩. প্রার্থী ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠীর হলে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের নিকট হতে প্রাপ্ত সনদপত্র দাখিল করতে হবে। 

১৪. আবেদনের সময়সীমা নিম্নরুপ- 

 (১) online-এ আবেদন ফর্ম পূরন ও পরীক্ষার ফি জমাদান শুরুর তারিখ ও সময় ১৫/০৯/২০২৪ইং,সকাল ০৯.০০টা হতে 

(২) online-এ আবেদন জমাদানের শেষ তারিখ ও সময় ১৪/১০/২০২৪ইং বিকাল ৫.০০টা পর্যন্ত। (৩) উক্ত সময় সীমার মধ্যে User ID প্রাপ্ত প্রার্থীগণ Online-এ আবেদন Submit-এর সময় থেকে পরবর্তী ৭২ (বাহাত্তর) ঘন্টার মধ্যে SMS পরীক্ষার ফি জমা দিতে পারবেন। 

১৫. online আবেদন পত্রে প্রার্থী তার রঙিন ছবি (দৈর্ঘ্য ৩০০x প্রস্থ ৩০০)pixel এবং স্বাক্ষর (দৈর্ঘ্য ৩০০x প্রস্থ ৮০) pixel স্ক্যান করে। 

সিভিল সার্জন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৪ গাইবান্ধা এর অফিসিয়াল নোটিশ দেখুন

গাইবান্ধা সিভিল সার্জন নিয়োগ ২০২৪

গাইবান্ধা সিভিল সার্জন নিয়োগ ২০২৪

সিভিল সার্জন সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্ন ও উত্তর

নিম্নে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিভিল সার্জন সম্পর্কে প্রশ্ন ও উত্তর দেয়া হল। আশা করি আপনাদের কাজে দিবে। এছাড়া আপনার কোন প্রশ্ন ও মতামত থাকলে নিম্নে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

১। সিভিল সার্জন কি?

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) হল বাংলাদেশের সরকারের সিভিল সার্ভিস, যা পাকিস্তানের সেন্ট্রাল সুপিরিয়র সার্ভিস থেকে উদ্ভূত। স্বাধীনতার পর এটি সিভিল সার্ভিস অধ্যাদেশের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়। বিসিএস-এর ২৬টি ক্যাডার রয়েছে এবং এর মূলনীতি ও পরিচালনা বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন দ্বারা নির্ধারিত হয়।

সিভিল সার্জন, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের অধীনে, স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমের নজরদারি ও পরিচালনা করেন। তিনি জেলার স্বাস্থ্যসেবা, মেডিকেল টিম গঠন, এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের তত্ত্বাবধান করেন। এছাড়াও, সরকারি ও বেসরকারি চাকরির জন্য মেডিকেল ফিটনেস সনদ প্রদান করেন।

২। সিভিল সার্জনের বেতন কত?

বাংলাদেশে সিভিল সার্জনের বেতন সাধারণত ২২,০০০ থেকে ৫৪,০০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে, যা গ্রেড অনুযায়ী ভিন্নতা থাকতে পারে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন ভাতাও প্রযোজ্য হতে পারে, যেমন মহার্ঘ ভাতা এবং অন্যান্য সুবিধা। তবে সঠিক এবং আপডেট তথ্যের জন্য সরকারী ঘোষণা বা কর্ম কমিশনের ওয়েবসাইট চেক করা ভালো।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ১৬ তম গ্রেডের বেতন

  • মূল বেতন-৯৩০০ টাকা.
  •  চিকিৎসা ভাতা-১৫০০ টাকা. 
  • যাতায়াত ভাতা -৩০০ টাকা.
  •  টিফিন ভাতা-২০০ টাকা.
  • মোট – ১১,৩০০/-

নিজ উপজেলা/ইউনিয়নে নিয়োগ হওয়ায় পাবেন না… 

বাড়ি ভাড়া ভাতা (মূল বেতনের ৫০%) – ৪,৬৫০/-

৩। সিভিল সার্জন কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?

সিভিল সার্জন অফিস ১৮৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন এটি ব্রিটিশ শাসনামলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা এবং চিকিৎসা সেবার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য গঠিত হয়েছিল। সিভিল সার্জনরা জেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য দায়ী ছিলেন এবং তাদের দায়িত্বে চিকিৎসা সেবা, রোগ প্রতিরোধ এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক তত্ত্বাবধান অন্তর্ভুক্ত ছিল। স্বাধীনতার পর এই অফিসের কার্যক্রম এবং দায়িত্বে পরিবর্তন আসলেও এর মূল উদ্দেশ্য স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নত করা অব্যাহত রয়েছে।

৪। সিভিল সার্জন এর কাজ কি?

সিভিল সার্জন জেলা পর্যায়ে প্রধান সরকারি চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর কার্যক্রমের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত:

১. স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণ: সিভিল সার্জন তাঁর নিয়ন্ত্রণাধীন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে রোগীদের জন্য যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করেন।

২. তদারকি: তিনি তাঁর অধীনে কাজ করা সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীর কার্যক্রম তদারকি করেন, যাতে সেবা প্রদানের মান বজায় থাকে।

৩. পরিদর্শন: সিভিল সার্জন বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র, হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি পরিদর্শন করেন, যাতে সেখানকার সেবার মান এবং কার্যক্রম মূল্যায়ন করা যায়।

৪. প্রশাসনিক কার্যক্রম: স্বাস্থ্য বিভাগের সব প্রশাসনিক কাজ যেমন রিপোর্ট প্রস্তুত করা, পরিকল্পনা করা এবং নীতিমালা বাস্তবায়নে সহায়তা করা সিভিল সার্জনের দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত।

এই কার্যক্রমগুলির মাধ্যমে সিভিল সার্জন স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়ন ও রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

৫। সিভিল সার্জন পরিসংখ্যানবিদ এর কাজ কি?

সিভিল সার্জন পরিসংখ্যানবিদের দায়িত্ব সাধারণত স্বাস্থ্যসেবার কার্যক্রমের তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণের সাথে সম্পর্কিত। এর কাজগুলো হলো:

১. প্রশ্ন তৈরি: বিভিন্ন পরীক্ষা ও জরিপের জন্য তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন তৈরি করা। এই প্রশ্নগুলি স্বাস্থ্যসেবার পরিস্থিতি, রোগের প্রকৃতি এবং জনগণের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহে সহায়ক।

২. পরিকল্পনা তৈরি: তথ্য সংগ্রহের জন্য পরীক্ষার এবং জরিপের সামগ্রিক পরিকল্পনা তৈরি করা। এটি কার্যকর তথ্য সংগ্রহের জন্য সঠিক কৌশল এবং পদ্ধতি নির্ধারণ করে।

৩. আইন ও নৈতিকতা যাচাই: পরীক্ষা ও জরিপের পরিকল্পনা আইনসম্মত ও নৈতিক কি না তা খতিয়ে দেখা। স্বাস্থ্য তথ্যের সুরক্ষা এবং গোপনীয়তার বিষয়টি নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

৪. তথ্য সংগ্রহ: পরিকল্পিত পরীক্ষা ও জরিপ পরিচালনা করে প্রয়োজনীয় তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করা। সঠিক ও যথাযথ তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন এবং রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করা হয়।

এই সব কাজের মাধ্যমে সিভিল সার্জন পরিসংখ্যানবিদ স্বাস্থ্য সেবা নীতি নির্ধারণ এবং প্রভাবিত করার জন্য একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করেন।

৬। সিভিল সার্জন শব্দের অর্থ কি?

সিভিল সার্জন” শব্দের অর্থ হলো একটি জেলা বা অঞ্চলের স্বাস্থ্য পরিষেবার দায়িত্বে থাকা সিভিল অফিসার, যিনি সাধারণ জনগণের জন্য প্রতিরোধমূলক, প্রচারমূলক এবং নিরাময়মূলক সেবা প্রদান করেন। তিনি তাঁর জেলার মধ্যে কর্মীদের পরিচালনা করে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করেন।

৭। সিভিল সার্জন স্বাস্থ্য সহকারী কাজ কি?

সিভিল সার্জন স্বাস্থ্য সহকারীর কাজগুলো বিভিন্ন স্বাস্থ্য কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত:

১. স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি: স্বাস্থ্য সহকারীরা জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরি করতে কাজ করেন, বিভিন্ন কর্মশালা, সেমিনার এবং প্রচারাভিযানের মাধ্যমে স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য ও শিক্ষা disseminate করেন।

২. রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ: তারা রোগ প্রতিরোধের কৌশলগুলির প্রচার ও বাস্তবায়ন করেন, যেমন ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা, যাতে জনগণের মধ্যে রোগের বিস্তার কমানো যায়।

৩. স্বাস্থ্য সেবা প্রদান: স্বাস্থ্য সহকারীরা স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং ক্লিনিকে মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা, যেমন প্রাথমিক চিকিৎসা, নার্সিং কেয়ার এবং স্বাস্থ্য পরামর্শ প্রদান করেন।

৪. তথ্য সংগ্রহ ও রিপোর্টিং: তারা স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করে এবং তা বিশ্লেষণ করেন। এই তথ্য সিভিল সার্জন এবং অন্যান্য কর্তৃপক্ষের জন্য রিপোর্ট আকারে উপস্থাপন করা হয়, যাতে স্বাস্থ্যসেবার পরিকল্পনা ও নীতি নির্ধারণে সহায়তা হয়।

৫. প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বৃদ্ধি: স্বাস্থ্য সহকারীরা স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের জন্য প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করেন, যাতে তাদের দক্ষতা বাড়ানো যায় এবং সেবা প্রদানের মান উন্নত হয়।

এই দায়িত্বগুলির মাধ্যমে সিভিল সার্জন স্বাস্থ্য সহকারীরা স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।

৮। সিভিল সার্জনের স্টোর কিপারের কাজ কি?

সিভিল সার্জনের স্টোর কিপারের কাজ হাসপাতালের স্টোর বা গুদামে সরবরাহ ও যন্ত্রপাতির সঠিক সংরক্ষণ, পরিচালনা এবং বিতরণ নিশ্চিত করা। তাঁর দায়িত্বগুলো সাধারণত নিম্নরূপ:

১. ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট: স্টোরের সমস্ত মালামালের সঠিক হিসাব রাখা এবং ইনভেন্টরি নিয়মিত আপডেট করা। এটি নিশ্চিত করে যে সবকিছু সঠিকভাবে রেকর্ড করা হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় সরবরাহ মজুদে রয়েছে।

২. সরবরাহ সংগ্রহ: নতুন সরবরাহ গ্রহণ এবং সেগুলোর গুণগত মান যাচাই করা। এটি নিশ্চিত করে যে, হাসপাতালের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি এবং ঔষধগুলো ঠিক আছে।

৩. সংরক্ষণ: সরবরাহ ও যন্ত্রপাতি সঠিকভাবে সঞ্চয় করা, যাতে সেগুলি নিরাপদে এবং সঠিক অবস্থায় থাকে। স্টোর কিপার তাদের স্থান, তারিখ ও ব্যবহার অনুসারে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করেন।

৪. বিতরণ: হাসপাতালে প্রয়োজন অনুযায়ী সরবরাহ এবং যন্ত্রপাতি যথাযথভাবে বিতরণ করা। এটি চিকিৎসা কর্মীদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সময়মতো সরবরাহ করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

৫. রিপোর্টিং: নিয়মিত ইনভেন্টরি রিপোর্ট প্রস্তুত করা এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সিভিল সার্জন বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে উপস্থাপন করা।

৬. নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ: স্টোরের নিরাপত্তা এবং যন্ত্রপাতির সুরক্ষা নিশ্চিত করা। এটি স্টোরের মধ্যে কোনও ধরনের অপচয় বা চুরি প্রতিরোধে সহায়ক।

৭. প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ: কখনও কখনও স্টোরের অন্যান্য কর্মীদের জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান করা, যাতে তারা সঠিকভাবে সরবরাহ পরিচালনা করতে পারে।

এই দায়িত্বগুলির মাধ্যমে স্টোর কিপার হাসপাতালের কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে সহায়তা করেন।

আরো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখুন

সিভিল সার্জন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৪ সিরাজগঞ্জ 

সিভিল সার্জন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৪ লালমনিরহাট 

সিভিল সার্জন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৪ কুষ্টিয়া

Check Also

BPATC job circular 2024 | লোক-প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৪

BPATC job circular 2024 | লোক-প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৪

আসসালামু আলাইকুম, সম্মানিত চাকরি প্রার্থী বন্ধুরা আশা করছি আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন। যারা ওদের আগ্রহ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *